মহিলার মৃত্যু, মেডিক্যাল দল গড়বেতায়

জেলার স্বাস্থ্যকর্তাদের অনুমান, আগের অস্ত্রোপচার থেকে শরীরে কোনও সংক্রমণ হয়ে থাকতে পারে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০১৭ ০০:০০
Share:

জ্বরে মহিলার মৃত্যুতে নড়েচড়ে বসল স্বাস্থ্য দফতর। মঙ্গলবার ভোরে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অঞ্জনা দাস নামে এক জ্বরে আক্রান্ত মহিলার মৃত্যু হয়। গড়বেতায় অঞ্জনাদেবীর বাড়ির এলাকায় বুধবার মেডিক্যাল টিম যায়। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা বলেন, “এটা ডেঙ্গি বা ম্যালেরিয়া কিছুই নয়। প্রাথমিক ভাবে যা জানা গিয়েছে, ওই মহিলার আগে একাধিক অস্ত্রোপচার হয়েছে। উনি একাধিক রোগেও ভুগেছেন।”

Advertisement

জেলায় আগেই ডেঙ্গিতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তিনজনের মধ্যে দু’জন খড়্গপুর শহরের বাসিন্দা। একজন খড়্গপুর গ্রামীণের বাসিন্দা। জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যাও চারশো পেরিয়েছে। তবে জ্বরে মৃত্যু এই প্রথম। ফলে জেলায় ডেঙ্গি-জ্বর নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল চারজন।

অঞ্জনাদেবী তিনদিন জ্বরে ভুগছিলেন। শুরুতে তিনি গড়বেতা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। সোমবার রাতে পরে গড়বেতা থেকে তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যালে এনে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়।

Advertisement

তিনদিনের জ্বরে কেন মহিলার মৃত্যু হল, সেই প্রশ্ন ওঠে। মেডিক্যালে ভর্তির পরে ডেঙ্গি পরীক্ষার কোনও সুযোগও মেলেনি। তবে প্রাথমিক ভাবে জেলার স্বাস্থ্যকর্তারা জেনেছেন, হাসপাতালে ভর্তির আগে থেকেই অঞ্জনাদেবীর রক্তচাপ স্বাভাবিকের থেকে কম ছিল। অঞ্জনাদেবীর ছেলে সুরজিৎ দাসেরও বক্তব্য, “তিনদিন ধরে মা জ্বরে ভুগছিলেন। সোমবার রাতে মেদিনীপুরে নিয়ে এসে ভর্তি করি। জ্বর কমছিলই না। মঙ্গলবার সকালে হঠাৎ শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হয়।”

জেলার স্বাস্থ্যকর্তাদের অনুমান, আগের অস্ত্রোপচার থেকে শরীরে কোনও সংক্রমণ হয়ে থাকতে পারে। সেই সংক্রমণ থেকে মৃত্যু হতে পারে। জেলার উপ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তথা পতঙ্গবাহী রোগের নোডাল অফিসার রবীন্দ্রনাথ প্রধান মানছেন, “সংক্রমণের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।”

অঞ্জনাদেবীর বাড়ি গড়বেতার ডাঙাপাড়ায়। বিভিন্ন বিষয় পর্যালোচনা করতে ওই এলাকায় মেডিক্যাল টিম গিয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, গত বছরও অজানা জ্বরে জেলায় এক যুবকের মৃত্যু হয়েছিল। ওই যুবক ডেবরার বাসিন্দা ছিলেন। বুধবার গড়বেতার ডাঙাপাড়া এলাকা পরিদর্শন করেছে মেডিক্যাল টিম। দেখা গিয়েছে, এলাকায় মশার উপদ্রব রয়েছে। তবে তা খুব বেশি নয়। এলাকার অন্য কেউ তেমন জ্বরেও ভুগছেন না। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্রবাবু মানছেন, “ওই মহিলা যে এলাকার বাসিন্দা সেখানকার সব কিছু খতিয়ে দেখা শুরু হয়েছে। আরও কেউ জ্বরে আক্রান্ত কি না তাও দেখা হচ্ছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন