Guppy Cultivation

গাপ্পি চাষে স্বনির্ভরতার দিশা মহিলাদের

জেলা পরিষদদের উদ্যোগে ‘জেলা আনন্দধারা’র সহযোগিতায় জামবনি ব্লকের চিল্কিগড় অগ্নিবীণা বহুমুখী প্রাথমিক সঙ্ঘের সদস্যরা গাপ্পি মাছ চাষ করেছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

 ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৮:৫০
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে হু হু করে। সরকারি হিসেব অনুযায়ী ঝাড়গ্রাম জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৯০১ জন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় শুরু হয়েছে তৎপরতা। মশার লার্ভা মারতে জেলায় ছাড়া হচ্ছে সাড়ে তিন লক্ষ গাপ্পি মাছ।

Advertisement

উল্লেখ্য, জঙ্গলমহলের এই জেলায় এ বারই প্রথম ছাড়া হচ্ছে স্ব-সহায়ক দলের মহিলাদের চাষ করা গাপ্পি মাছ। আগে এই মাছ ভিন্‌ জেলা থেকে নিয়ে আসা হত। মহিলারা মাছ পিছু সরকারের থেকে টাকা পাচ্ছেন। জেলাশাসক সুনীল আগরওয়াল বলেন,‘‘সঙ্ঘের মহিলাদের এই উদ্যোগ খুবই ভাল। গাপ্পি মাছ ছাড়ায় মশার লার্ভা অনেকটাই কমবে।’’

জেলা পরিষদদের উদ্যোগে ‘জেলা আনন্দধারা’র সহযোগিতায় জামবনি ব্লকের চিল্কিগড় অগ্নিবীণা বহুমুখী প্রাথমিক সঙ্ঘের সদস্যরা গাপ্পি মাছ চাষ করেছিলেন। সেই মাছ জেলার ৮টি ব্লকে বিতরণ করা শুরু হয়েছে। জেলার মধ্যে প্রথম পাইলট প্রজেক্ট চালু হয়েছিল জামবনিতেই। জেলা আনন্দধারা প্রকল্পের আধিকারিক শর্মিষ্ঠা চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘জামবনি ব্লকের চিল্কিগড় সঙ্ঘ গাপ্পি মাছ চাষ করেছিল। ৪ লক্ষ মাছ চাষ হয়েছে। সেই মাছ বিতরণ করা হয়েছে।’’ জামবনি ব্লকের ওই সঙ্ঘের মহিলাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে মৎস্য দফতর। মৎস্য দফতর সূত্রে খবর, গাপ্পি মাছ দুই থেকে তিন বছর বাঁচে। তিন মাসে গাপ্পি মাছ পরিণত হয়। এই মাছ সর্বাধিক ২ ইঞ্চি লম্বা হয়। এই মাছের প্রচুর বাচ্চা হয়। একটি মাছ থেকে ৫০ হাজার থেকে এক লক্ষ মাছের বাচ্চা হয়।

Advertisement

বৃষ্টির জমা জলে দেখা দিতে পারে ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গি মশার পাদুর্ভাব। জমা জলে মশার লার্ভার মারতে জেলাজুড়ে গাপ্পি মাছ ছাড়া হয়। প্রতি বছর এই মাছ বাইরে থেকে কিনে আনা হত। গত বছর জেলায় ৪ লক্ষ ৩৫ হাজার গাপ্পি মাছ ছাড়া হয়েছিল। তারমধ্যে ঝাড়গ্রাম পুর এলাকায় প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার গাপ্পি মাছ ছাড়া হয়েছিল। চলতি বছরে ফের জেলা জুড়ে গাপ্পি মাছ ছাড়া শুরু হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন