পিছিয়ে পড়া মহিলাদের স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে তৈরি ‘মুক্তিধারা’ প্রকল্পে গতি আনতে এ বার ব্লকস্তরে কর্মশালা করছে জেলা প্রশাসন। সব কর্মশালাতেই জেলার একটি দল যাবে। থাকবেন প্রাণিসম্পদ, বন, কৃষি-সহ বিভিন্ন বিভাগের পদস্থ কর্তারা থাকবেন। ইতিমধ্যে জঙ্গলমহলের ৮টি ব্লকে এই কর্মশালা আয়োজনের সূচি চূড়ান্ত হয়েছে। কর্মশালা শুরুও হয়েছে। সম্প্রতি কর্মশালা হয়েছে সাঁকরাইল, বিনপুর-২ এর (বেলপাহাড়ি) মতো ব্লকে। সাঁকরাইলের কর্মশালায় ছিলেন জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনাও। জেলাশাসক বলেন, “ব্লকস্তরের কর্মশালায় প্রকল্পের সব দিক নিয়েই আলোচনা হচ্ছে।” জেলা প্রশাসনের আশা, মুক্তিধারা প্রকল্পের মাধ্যমে আরও বেশি সংখ্যক মানুষের বিকল্প রুজির ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে। জেলা প্রশাসনের এক কর্তার কথায়, “স্বসহায়ক দলের সদস্যরা অনেক সময় বুঝতে পারেন না কী ভাবে তাঁরা এগোবেন। ঠিক কী করলে আয়ের পথ সুগম হবে। কর্মশালায় জেলার প্রশাসনিক কর্তারা থাকছেন। ব্যাঙ্কের প্রতিনিধিও থাকছেন। ফলে, এখানে সব দিক নিয়েই আলোচনার
সুযোগ রয়েছে।”
২০১৪ সালে পশ্চিম মেদিনীপুরে শুরু হয়েছিল এই প্রকল্প। গোড়ায় ঝাড়গ্রাম এবং বিনপুর-১ (লালগড়) ব্লকে কাজ শুরু হয়। ২০১৫ সালে জঙ্গলমহলের বাকি ৬টি ব্লকেও এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। প্রথমে ওই দু’টি ব্লকের ৪৭টি স্বসহায়ক দলকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এরপর জেলা থেকে গ্রামীণ উন্নয়ন নিগম (ডিআরডিসি)- এর মাধ্যমে দলগুলোকে স্বল্প সুদে ব্যাঙ্ক ঋণ পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। ধান চাষ, সব্জি চাষ, মুড়ি ভাজা, ছাগল পালন কিংবা মুরগি খামার করে পিছিয়ে পড়া মহিলাদের আয়ের পথ সুগম করা হয়। পরে প্রায় ১৪০০টি স্বসহায়ক দলকে এই প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসা হয়।