সদ্যোজাতকে ভুল ইঞ্জেকশন, নালিশ

এক সদ্যোজাতের চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠল খড়্গপুরের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে। অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে খড়্গপুর থানার বুলবুলচটির ওই নার্সিংহোমে ভর্তি দু’দিনের এক সদ্যোজাতকে ভুল ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ জুলাই ২০১৬ ০১:৪২
Share:

এক সদ্যোজাতের চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠল খড়্গপুরের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে। অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে খড়্গপুর থানার বুলবুলচটির ওই নার্সিংহোমে ভর্তি দু’দিনের এক সদ্যোজাতকে ভুল ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। পুলিশেও শিশুটির পরিবারের লোকেরা অভিযোগ দায়ের করেন।

Advertisement

গত রবিবার সৌমেনবাবুর স্ত্রী প্রসূতি পিঙ্কি দাস ওই নার্সিংহোমে ভর্তি হন। সোমবার তিনি একটি কন্যা সন্তান প্রসব করেন। ওই প্রসূতির রক্তের বিভাগ ‘এ’ নেগেটিভ হওয়ায় প্রসবের পর ‘অ্যান্টি-ডি’ নামে একটি ইঞ্জেকশন দিতে হয়। মঙ্গলবার পিঙ্কিদেবীকে সেই ইঞ্জেকশন দেওয়ার কথা ছিল। আর শিশুটিকে একটি হেপাটাইটিস-বি ইঞ্জেকশন দেওয়ার কথা ছিল। অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে ওই নার্সিংহোমের দুই কর্তব্যরত নার্স প্রসূতিকে ইঞ্জেকশন দিতে না এসে অ্যাটেনড্যান্ট সুতপা চট্টোপাধ্যায়কে পাঠিয়ে দেন। পাশাপাশি ওই দু’টি ইঞ্জেকশন রাখা ছিল। সুতপাদেবী ‘অ্যান্টি-ডি’ ইঞ্জেকশনটি সদ্যোজাত শিশুটিকে দিয়ে দেন বলে অভিযোগ।

শিশুটির বাবা সৌমেন দাস পেশায় ফার্মাসিস্ট। শিশুটিকে ইঞ্জেকশন দিতে দেখে ছুটে আসেন সৌমেনবাবু। তিনিই লক্ষ্য করেন, ওই শিশুকে ‘অ্যান্টি-ডি ইঞ্জেকশন’ দেওয়া হয়েছে। প্রশ্ন করলে অ্যাটেনড্যান্ট ঘটনার কথা স্বীকার করেন। সৌমেনবাবুর অভিযোগ, “এমন ভুল চিকিৎসায় সন্তানের কোনও ক্ষতি হলে কে দায় নেবে?” ওই নার্সিংহোমের মালিক অনিল অগ্রবাল বলেন, “এটা আমাদের গাফিলতি, স্বীকার করছি। তবে ওই শিশুর কিছু হবে না এ টুকু দায় নিতে পারি। যিনি ওই ইঞ্জেকশন দিয়েছেন, তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ভবিষ্যতে যাতে এই ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ে সতর্ক হব।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement