জুনপুটে যুবক খুনের নালিশ, গ্রেফতার বন্ধু

প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, এটি পরিকল্পিত খুনের ঘটনা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, স্বপনের স্ত্রীর সঙ্গে সুজিতের বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাঁথি শেষ আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০১৭ ০০:০০
Share:

প্রতীকী ছবি।

খালের জলে ভেসে উঠল এক যুবকের মৃতদেহ। সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন। সোমবার রাতে পূর্ব মেদিনীপুরের জুনপুট কোস্টাল থানার বড়বানতালিয়া গ্রামে স্বপন মাইতি (৩৪) নামে ওই যুবকের দেহ উদ্ধারের পরে খুনের অভিযোগ উঠেছে। নিহতের বাবা সুভাষচন্দ্র মাইতি মঙ্গলবার পুলিশে ছেলেকে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতেই প্রতিবেশী যুবক সুজিত পালকে এ দিন গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ, বুধবার ধৃতকে কাঁথি আদালতে তোলা হবে।

Advertisement

প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, এটি পরিকল্পিত খুনের ঘটনা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, স্বপনের স্ত্রীর সঙ্গে সুজিতের বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। আর তার জেরেই খুন হতে হয়েছে স্বপনকে। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ বসুরও দাবি, “পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে খুনের কথা স্বীকার করেছে সুজিত। বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের কথাও জানিয়েছে। আমরা ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছি।’’ ইন্দ্রজিৎবাবু আরও জানান, তাঁরা সন্দেহের তালিকা থেকে নিহতের স্ত্রীকেও বাদ দিচ্ছেন না। যদিও খুন বা সুজিতের সঙ্গে সম্পর্কের কথা একেবারে অস্বীকার করেছেন স্বপনের স্ত্রী। তাঁরও সন্দেহ, সুজিতের দিকেই।

স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রতিবেশী স্বপন ও সুজিতের মধ্যে বন্ধুত্ব ছিল। সেই সূত্রেই স্বপনের স্ত্রী-র সঙ্গে যোগাযোগ হয় সুজিতের। স্বপনের জামাইবাবু অশোক জানা আবার বলেন, “মাস দুয়েক ধরেই পরিবারে অশান্তি চলছিল।” স্থানীয়দের আরও দাবি, সোমবার সন্ধ্যায় খালের পাড়ে সুজিতকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। তার কাছেই ভেসে ওঠে স্বপনের দেহও। তার পিঠে ও গলায় ধারাল অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন ছিল। দু’জনকেই উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেয় গ্রামবাসী। পুলিশ গিয়ে স্বপনের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। জ্ঞান ফিরে আসার পরে সুজিতকে গ্রেফতার করা হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement