১৬ বছর পর নিজস্ব ভবনে জেলা পরিষদ

প্রশাসনিক কাজকর্মের জন্য অবিভক্ত মেদিনীপুর ভাগ করে তমলুক, হলদিয়া, কাঁথি ও এগরা মহকুমা নিয়ে গঠিত হয় পূর্ব মেদিনীপুর জেলা।

Advertisement

আনন্দ মণ্ডল

তমলুক শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০১৭ ০২:৪৪
Share:

নতুন: নির্মীয়মাণ জেলা পরিষদ ভবন। নিজস্ব চিত্র

পেরিয়ে গিয়েছে ১৬ বছর। তবু এত দিন ভরসা ছিল ভাড়া বা়ড়িই। অবশেষে আগামী বছরের ১ জানুয়ারি তমলুকের নিমতৌড়িতে নবনির্মিত পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের ভবনের উদ্বোধন হবে। প্রশাসনিক কাজও শুরু হবে সে দিন থেকই। জেলা পরিষদের সভাধিপতি মধুরিমা মণ্ডল বলেন, “নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন এবং সেখানে কাজ শুরুর জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।”

Advertisement

প্রশাসনিক কাজকর্মের জন্য অবিভক্ত মেদিনীপুর ভাগ করে তমলুক, হলদিয়া, কাঁথি ও এগরা মহকুমা নিয়ে গঠিত হয় পূর্ব মেদিনীপুর জেলা। ২০০২ সালের ১ জানুয়ারি তমলুকের রাখাল মেমোরিয়াল ময়দানে সেই জেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। সে বছরই গঠন করা হয় পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদ। নতুন জেলা সদর তমলুকের মানিকতলায় হলদিয়া-মেচেদা রাজ্য সড়কের পাশে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে চালু হয়েছিল তাদের অফিস। অতিরিক্ত জেলাশাসকের কার্যালের ভবনে চালু হয় জেলাশাসকের অফিস। এ ছাড়াও বাড়ি ভাড়া নিয়ে চালু হয় জেলা পুলিশ সুপার-সহ রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরের জেলা আধিকারিকদের অফিস।

নয়া জেলা গঠনের পর বিভিন্ন জেলা প্রশাসনিক অফিস একই চত্বরে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। এ জন্য তমলুক শহরের অদূরে নিমতৌড়ি এলাকায় হলদিয়া-মেচেদা ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে ১১০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। সেই জমি ভরাট করে বিভিন্ন কার্যালয়ের জন্য ভবন, জেলাশাসক ও জেলা পরিষদ সভাধিপতির বাসভবন এবং কর্মী-আধিকারিদের আবাসন গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু হয়েছিল কয়েক বছর আগেই। বহুতল বিশিষ্ট জেলা প্রশাসনিক ভবন তৈরির জন্য বরাদ্দ করা হয় প্রায় ১০০ কোটি টাকা। জেলা পরিষদের অফিস ভবন, সভাধিপতির বাসভবন ও অতিথি নিবাস তৈরির জন্য বরাদ্দ করা হয় ২৮ কোটি টাকা। জেলা প্রশাসনিক ভবন নির্মাণের কাজ চলছে জোর গতিতে। ইতিমধ্যে জেলা পরিষদের পাঁচতলা বিশিষ্ট অফিস ভবনের কাজ প্রায় সম্পূর্ণ হয়েছে। নবনির্মিত এই ভবনে গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা ছাড়াও থাকছে জেলা সভাধিপতি, সহ-সভাধিপতি, কর্মাধ্যক্ষ, আধিকারিক ও জেলা পরিষদের বিভিন্ন দফতরের অফিস ও সভাকক্ষ। জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সোমনাথ বেরা বলেন, “জেলা পরিষদের এই ভবন নির্মাণের জন্য নির্দিষ্ট করা হয় দু’বছর সময়। সময়ের আগেই ভবন তৈরির কাজ হয়েছে।”

Advertisement

জেলা পরিষদের এক কর্তা জানান, বর্তমানে ভাড়া বাড়িতে থাকা অফিসের জন্য প্রতি মাসে প্রায় ১ লক্ষ টাকা খরচ হয় ভাড়া বাবদ। নতুন ভবন চালু হলে সেই খরচ বাঁচবে। জাতীয় সড়কের পাশে নতুন অফিসে জেলার বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের যাতায়াতেরও সুবিধে হবে। রাজনৈতিক মহলের মতে, আগামী বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই ভবন নির্মাণকে শাসকদলের তরফে রাজ্য সরকারের সাফল্য হিসেবে তুলে ধরা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন