অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে তালা

অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগ তালা ঝুলিয়ে দিলেন গ্রামের তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য। সোমবার এগরা-১ ব্লকের রবিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের বাতাসপুর গ্রামের ঘটনা। অভিভাবকদের অভিযোগ, স্কুলে শিক্ষিকারা নিয়মিত ক্লাসে আসেন না। স্কুলের মিড-ডে মিলের চাল-ডালও সরিয়ে রাখার অভিযোগ রয়েছে। বাতাসপুর গ্রামে পঞ্চায়েত সদস্য অশোক দাসের অভিযোগ, “এই কেন্দ্রের শিক্ষিকা আমাদের গ্রামেরই মেয়ে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

এগরা শেষ আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০১৪ ০০:০১
Share:

স্কুলের সামনে পড়ুয়ারা। —নিজস্ব চিত্র।

অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগ তালা ঝুলিয়ে দিলেন গ্রামের তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য। সোমবার এগরা-১ ব্লকের রবিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের বাতাসপুর গ্রামের ঘটনা। অভিভাবকদের অভিযোগ, স্কুলে শিক্ষিকারা নিয়মিত ক্লাসে আসেন না। স্কুলের মিড-ডে মিলের চাল-ডালও সরিয়ে রাখার অভিযোগ রয়েছে। বাতাসপুর গ্রামে পঞ্চায়েত সদস্য অশোক দাসের অভিযোগ, “এই কেন্দ্রের শিক্ষিকা আমাদের গ্রামেরই মেয়ে। তাঁকে অমিয়মের বিষয়ে জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। এই সমস্যা নিয়ে বিডিও ও পঞ্চায়েত সমিতির কাছেও গিয়েছি। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি। তাই আজ কেন্দ্রে তালা ঝুলিয়েছি।” তাঁর আরও অভিযোগ, “ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই কেন্দ্রের শিক্ষিকাকে গ্রামের একটি শৌচাগার প্রকল্পের সমীক্ষা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি এ বিষয়ে আমার সঙ্গে আলোচনা না করেই একটি ভুল সমীক্ষাপত্র জমা দিয়েছেন।” যদিও ওই কেন্দ্রের শিক্ষিকা রানি মাণ্ডির পাল্টা অভিযোগ, “ওই শৌচাগারের সমীক্ষাপত্র নিয়ে একাধিকবার পঞ্চায়েত সদস্যের কাছে গেলেও তিনি আমাকে সহযোগিতা করেননি। তাছাড়াও ওরা আমাদের সরাতে একাধিকবার নানা কৌশল অবলম্বন করেছেন।” বরদি পঞ্চায়েত প্রধান তথা ব্লক তৃণমূল সভাপতি সিদ্ধেশ্বর বেরা বলেন, “কেন্দ্রে তালা লাগানো ঠিক হয়নি। তবে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি।”

Advertisement

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন