পাঁশকুড়ায় এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগের পর কেটে গিয়েছে এক দিন। আর এই সময়ের মধ্যেও ওই ঘটনায় পাশের গ্রামের তিন অভিযুক্তকে এখনও গ্রেফতার করতে পারল না পুলিশ। ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার ও এলাকায় নিরাপত্তার দাবিতে মঙ্গলবার বিকেলে গ্রামে মিছিল করেন এলাকার বাসিন্দারা। পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সুকেশকুমার জৈন বলেন, “আক্রান্ত মহিলা অভিযুক্তদের পরিচয় জানাতে পারেনি। সেকারণে ওই ঘটনায় জড়িত তিনজন অভিযুক্তকে চিহ্নিত করতে তাঁদের স্কেচ আঁকানো হয়েছে। অভিযুক্তদের চিহ্নিত করতে তদন্ত চালানো হচ্ছে।”
রবিবার সন্ধ্যায় জমিতে সার দিতে যাওয়ার পথে পাঁশকুড়ার ওই গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল পাশের গ্রামের তিন যুবকের বিরুদ্ধে। গুরুতর জখম ওই গৃহবধূ পাঁশকুড়া থানায় এ বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। পরে তাঁকে তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবশ্য মঙ্গলবার দুপুরে হাসপাতাল থেকে ওই মহিলাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ওই গৃহবধূর স্বামী জানান, “আগের চেয়ে ওর শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও এখনও সেরে উঠেনি। কিন্তু মঙ্গলবার হাসপাতাল থেকে ওকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।” জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানান, ওই মহিলা এখন সুস্থই রয়েছেন।
পাঁশকুড়ায় গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগের ঘটনার পরে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, যেভাবে প্রকাশ্যে ওই গৃহবধূকে দুষ্কৃতীকে তুলে নিয়ে গিয়ে তাঁর উপর অত্যাচার চালিয়েছে তাতে মহিলাদের নিরাপত্তাহীনতা দেখা দিয়েছে। এ দিন বিকেলে গ্রামপঞ্চায়েতের সামনে জড়ো হন এলাকার মহিলারা সহ কয়েক’শ বাসিন্দা। মিছিলে সামিল হয়েছিলেন তৃণমূল নেতা তথা পাঁশকুড়ার উপ-পুরপ্রধান নন্দ মিশ্র, সিপিআই নেতা নির্মল বেরা, সিপিএম নেতা নকুল সামন্ত ও গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান রবীন্দ্রনাথ ভক্তা-সহ বিভিন্ন দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। নন্দ মিশ্রের কথায়, “ওখানের ঘটনা নিন্দনীয়। মিছিলে ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি তোলা হয়েছে। আমরাও চাই এই ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে শাস্তি দেওয়া হোক।”