কালীপুজো উপলক্ষে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আসা ছোট পর্দার এক অভিনেত্রীর শ্লীলতাহানির ঘটনায় এখনও ধরা পড়েনি অভিযুক্তরা। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটে তমলুক থানার তমলুকের চকগাড়ুপোতা গ্রামে। যে ক্লাবের অনুষ্ঠানে অভিনেত্রী গিয়েছিলেন, সেই ‘শতদল’ ক্লাবেরই সম্পাদক তথা স্থানীয় তৃণমূল নেতা অলোক রায়-সহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের হয়। সোমবার পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।
পুলিশের দাবি, শনিবার রাতেই ওই অভিনেত্রীর অভিযোগ পরে এলাকায় একাধিকবার তল্লাশি চালানো হয়েছে। তবে অলোক রায়ের সন্ধান পাওয়া যায়নি। বাকি অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার চেষ্টা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, তমলুক থানার শ্রীরামপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার চকগাড়ুপোতা গ্রামের হাইস্কুল মাঠে স্থানীয় ‘শতদল’ ক্লাবের উদ্যোগে কালীপুজো হয়েছে। সেই উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শনিবার রাতে এসেছিলেন ছোট পর্দার ওই অভিনেত্রী। তিনি যখন পৌঁছন তখন মঞ্চে গান চলায় তাঁকে পাশে একটি ঘরে বসানোর ব্যবস্থা করেন ক্লাব-কর্তারা। অভিযোগ, ওই ঘরে অপেক্ষা করার সময় ক্লাব সম্পাদক অলোকবাবু-সহ ক্লাবের কয়েকজন সদস্য মদ্যপ অবস্থায় ওই অভিনেত্রীর শ্লীলতাহানি করে ও তাঁদের সঙ্গে তাঁকে নাচতে বাধ্য করে। এর পরেও অবশ্য ওই অভিনেত্রী মঞ্চে উঠে গান শোনান ও সংলাপ বলেন। মঞ্চ থেকে নামার পরে ফের তাঁকে ঘিরে একদল লোক নাচার দাবি জানায় বলে অভিযোগ। এই সময় অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত দেহরক্ষীরা পরিস্থিতি সামাল দেন। রাতেই তমলুক থানায় অলোক রায় সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করে ওই অভিনেত্রী।
এই ঘটনার পরে প্রশ্ন উঠেছে তমলুক শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে প্রত্যন্ত ওই গ্রামের অনুষ্ঠানে রাতে হাজার কুড়ি লোকের জমায়েত হওয়া সত্ত্বেও সেখানে পুলিশের তরফে কোনও নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল না কেন? অথচ উদ্যোক্তারা বলছেন, পুলিশের থেকে অনুষ্ঠানের অনুমতি নেওয়া হয়েছিল। পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সুকেশকুমার জৈন অবশ্য বলেন, “জেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিন এ রকম নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। সব জায়গায় বাহিনী মোতায়েন করার মতো পুলিশ নেই। তবে যেখানে প্রয়োজন সেখানে পুলিশ বাহিনী পাঠানো হয়।”