অভাবকে হারিয়ে এগোতে চায় দুই বন্ধু

ছোটবেলা থেকেই দু’জনে অভিন্ন হৃদয় বন্ধু। দু’জনেরই একইরকমভাবে পছন্দের খেলা ক্রিকেট। পদ্মলোচন মণ্ডল ও ইন্দ্রনীল দাসের মাধ্যমিকের প্রাপ্ত নম্বরও একই। পটাশপুরের নেকুরশেনি হাইস্কুল থেকে এ বার মাধ্যমিকে তারা মোট ৬৪৬ নম্বর পেয়েছে। পদ্মলোচন ও ইন্দ্রনীল ভগবানপুর-২ ব্লকের অর্জুননগরের বাসিন্দা। পদ্মলোচনের পরিবারের ১০ কাঠা জমি রয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

এগরা শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০১৫ ০০:১০
Share:

পদ্মলোচন ও ইন্দ্রনীল। —নিজস্ব চিত্র।

ছোটবেলা থেকেই দু’জনে অভিন্ন হৃদয় বন্ধু। দু’জনেরই একইরকমভাবে পছন্দের খেলা ক্রিকেট। পদ্মলোচন মণ্ডল ও ইন্দ্রনীল দাসের মাধ্যমিকের প্রাপ্ত নম্বরও একই।

Advertisement

পটাশপুরের নেকুরশেনি হাইস্কুল থেকে এ বার মাধ্যমিকে তারা মোট ৬৪৬ নম্বর পেয়েছে। পদ্মলোচন ও ইন্দ্রনীল ভগবানপুর-২ ব্লকের অর্জুননগরের বাসিন্দা।

পদ্মলোচনের পরিবারের ১০ কাঠা জমি রয়েছে। অন্যের জমিতে ভাগচাষ ও বাড়ির পাশের খালে মাছ ধরেই কোনও মতে দিন গুজরান। পদ্মলোচন বড় হয়ে ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়। তার বাবা প্রণবেশ মণ্ডল বলেন, ‘‘নিজেদের খাওয়া-পরা ও মেয়ের পড়াশুনো সামলাতে হিমশিম খাই। আবার ছেলের পড়াশুনো কী ভাবে সামলাবো বুঝতে পারছি না।’’ পদ্মলোচনের কথায়, ‘‘পড়াশোনার কাজে কেউ সাহায্য করলে খুব সুবিধা হয়। না হলে কী করে পড়াশোনা চালাব জানিনা।’’

Advertisement

ইন্দ্রনীলের বাবার সামান্য উপার্জনে কোনও মতে সংসার চলে। বড় হয়ে চিকিৎসক হওয়ার ইচ্ছা ইন্দ্রনীলের। ছেলের সাফল্যে খুশি ইন্দ্রনীলের বাবা রাজশেখর দাস বলেন, ‘‘মাধ্যমিকের ফল বেরনোর পর চিন্তা আরও বেড়ে গিয়েছে। কী করে ছেলের স্বপ্ন পূরণ করব, তা ভেবেই দিশাহারা লাগছে।’’ ইন্দ্রনীলের কথায়, ‘‘কেউ আমাদের পাশে দাঁড়ালে লড়াইয়ের শক্তি পাবো। না হলে কী করব জানিনা।’’

নেকুড়শুনি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক শক্তিপদ গিরি বলেন, ‘‘পদ্মলোচন ও ইন্দ্রনীল দু’জনেই আমাদের প্রিয় ছাত্র। নিজের চেষ্টাতেই ওরা সফল হয়েছে। ভবিষ্যতে ওরা আরও বড় হোক এটাই চাই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন