দাবি মেনে মেদিনীপুর পুরসভার অস্থায়ী ও চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি হল। মঙ্গলবার পুরবোর্ডের বৈঠকে এই বেতন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত হয়। পুরপ্রধান প্রণব বসু বলেন, “সমস্ত দিক খতিয়ে দেখেই এই সিদ্ধান্ত।”
পুরসভা সূত্রে খবর, এই সিদ্ধান্তের ফলে অস্থায়ী কর্মীদের গড়ে ১,৩০০ টাকা এবং চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের গড়ে ১,৫০০ টাকা মাস পিছু বেতন বৃদ্ধি হল। পুর- কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, সুষ্ঠু পরিষেবার স্বার্থে ওয়ার্ড পিছু আরও দু’জন করে অস্থায়ী ‘কনজারভেন্সি’ শ্রমিক নিয়োগ করা হবে। মেদিনীপুর শহরে ২৫টি ওয়ার্ড রয়েছে। অর্থাত্, সবমিলিয়ে ৫০ জন শ্রমিক নিয়োগ করা হবে। বেতন বৃদ্ধি, কর্মী নিয়োগ এবং শ্রম দিবস বৃদ্ধির জন্য পুরসভার অতিরিক্ত ব্যয় হবে ১ কোটি ৭ লক্ষ ৩২ হাজার ৬২০ টাকা।
বস্তুত, আগে অস্থায়ী কর্মীদের মাসে ২০ দিন কাজ করার অনুমোদন ছিল। এখন তা বাড়িয়ে ২৫ দিন করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে কর্মীরা মাসিক নূন্যতম ২ হাজার টাকার পরিবর্তে ৩১২৫ টাকা পাচ্ছেন। পুরসভা সূত্রে খবর, ২০১৪ সালের জুলাইয়ে পুর-পারিষদের বৈঠকে এই বেতন বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা হয়। পরে উপ-পুরপ্রধান জিতেন্দ্রনাথ দাসের নেতৃত্বে ৭ জন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। যে কমিটিই সব দিক খতিয়ে দেখে বেতন বৃদ্ধির প্রস্তাব দেয়। ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে পুর- পারিষদের বৈঠকে এই প্রস্তাব পেশ হয়। মঙ্গলবার পুরবোর্ডের বৈঠকে সেই প্রস্তাবে সিলমোহর দেওয়া হয়।
যে সব দাবিতে মেদিনীপুর শহরে মাঝে-মধ্যে আন্দোলন করেন সাফাই কর্মীরা, তার একটি এই বেতন বৃদ্ধিই। মাস কয়েক আগে শহরে সাফাই ধর্মঘটও হয়। কর্মীদের বক্তব্য ছিল, শহরে পুর- কর বেড়েছে। ফলে, পুরসভার আয় বেড়েছে। সে ক্ষেত্রে মজুরি কেন বাড়বে না?
বেতন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে শহরের কাউন্সিলর তথা শহর কংগ্রেস সভাপতি সৌমেন খান বলেন, “যাঁদের দৈনিক মজুরি সবথেকে কম, তাঁদের মজুরি আরও একটু বাড়ালে ভাল হত।” জিতেন্দ্রনাথবাবু বলেন, “আগের মজুরি পরিকাঠামো এবং দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি বিচার- বিবেচনা করেই মাসিক বেতন বেশ কিছুটা বৃদ্ধি করা হয়েছে। দাবি থাকতেই পারে। সব দাবি তো মানা সম্ভব নয়।”
২০১৪ সালের জুলাইয়ে পুর- পারিষদের বৈঠকে এই বেতন বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। পরে পুরসভারই কমিটি সব দিক খতিয়ে দেখে বেতন বৃদ্ধির প্রস্তাব দেয়। ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে পুর- পারিষদের বৈঠকে এই প্রস্তাব পেশ হয়। আলোচনাও হয়। আলোচনা শুরুর এক বছর পর এতদিনে বেতন বৃদ্ধির প্রস্তাব কার্যকর হল মেদিনীপুর পুরসভায়। মঙ্গলবার পুরবোর্ডের বৈঠকে যে প্রস্তাবে সিলমোহর লাগে।