আবেদন গ্রহণের আড়াই বছর পর পরীক্ষা, ক্ষোভ

শূন্য পদ ৭০। আবেদনকারী ১ লক্ষ চার হাজার। আবেদন পত্র গ্রহণের আড়াই বছর পর অবশেষে হচ্ছে পঞ্চায়েতের সহায়ক পদে নিয়োগের পরীক্ষা। আগামী রবিবার জেলার ২১৮টি কেন্দ্রে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে। পরীক্ষার্থীদের অ্যাডমিট কার্ড বিলি-সহ পরীক্ষার ব্যবস্থাপনার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রস্তুতি চলছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তমলুক শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০১৫ ০০:২৯
Share:

শূন্য পদ ৭০। আবেদনকারী ১ লক্ষ চার হাজার।

Advertisement

আবেদন পত্র গ্রহণের আড়াই বছর পর অবশেষে হচ্ছে পঞ্চায়েতের সহায়ক পদে নিয়োগের পরীক্ষা। আগামী রবিবার জেলার ২১৮টি কেন্দ্রে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে। পরীক্ষার্থীদের অ্যাডমিট কার্ড বিলি-সহ পরীক্ষার ব্যবস্থাপনার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রস্তুতি চলছে। পূর্ব মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) অজয় পাল বলেন, “পঞ্চায়েতের সহায়ক পদে নিয়োগের জন্য ১ ফেব্রুয়ারি লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে। এ জন্য জেলার বিভিন্ন এলাকায় মোট ২১৮টি পরীক্ষা গ্রহণ কেন্দ্র করা হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য অতিরিক্ত বাস চালাতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”

জেলা প্রশাসন ও পঞ্চায়েত দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতে শূন্য হওয়া পঞ্চায়েত কর্মী ও সহায়ক পদে নিয়োগের জন্য ২০১২ সালের ৭ জুলাই জেলা পঞ্চায়েত দফতর থেকে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল। ওই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী জেলায় পঞ্চায়েতের ওই সব শূন্য পদের জন্য আবেদন করেন প্রায় দেড় লক্ষের বেশি পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে ৭০টি পঞ্চায়েত সহায়ক পদের জন্য আবেদন করেন প্রায় ১ লক্ষ ৪ হাজার পরীক্ষার্থী। আর পঞ্চায়েত কর্মী পদের জন্য আবেদন করেন প্রায় ৫২ হাজার পরীক্ষার্থী। কিন্তু এই বিপুল সংখ্যক আবেদনকারীদের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া নিয়ে দীর্ঘদিন অচলাবস্থা চলে। আবেদনকারীদের অনেকেই লিখিত পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতিও শুরু করেন। কিন্তু দীর্ঘদিন পরীক্ষা না হওয়ায় হাল ছেড়ে দেন অনেকে।

Advertisement

দীর্ঘ প্রায় আড়াই বছর পরে ওইসব শূন্য পদগুলির মধ্যে প্রথম ধাপে পঞ্চায়েত সহায়কের ৭০টি পদে নিয়োগের জন্য জেলা প্রশাসন ও পঞ্চায়েত দফতরের পক্ষ থেকে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি ডাকযোগে ওই পদের জন্য আবেদনকারীদের কাছে লিখিত পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড পাঠানো হয়েছে। ১ ফেব্রুয়ারি রবিবার বেলা ১২টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ওই পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। এত দেরিতে পরীক্ষা হওয়ায় ক্ষুব্ধ পরীক্ষার্থীরা।

তমলুকের খারুই-২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার এক আবেদনকারী বলেন, “ওই চাকরির জন্য আবেদন করার সময় পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। কিন্তু ওই পরীক্ষা কবে হবে তা দীর্ঘদিন না জানানোয় পড়াশোনা বন্ধ করে দিয়েছি। এতদিন বাদে ফের ওই পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া মুশকিল।” পাঁশকুড়ার প্রতাপপুর এলাকার এক আবেদনকারী বলেন, “আবেদন করার দীর্ঘদিন পরও পরীক্ষা হওয়ায় ওই পরীক্ষার কথা প্রায় ভুলে গিয়েছিলাম। একটা পরীক্ষা নিতেই এত সময় লেগে গেল, মাঝে আমাদের যে আড়াই বছর বয়স পার হয়ে গেল তা পূরণ হবে কি করে?”

পঞ্চায়েতের ওই শূন্য পদের জন্য আবেদনের পর লিখিত পরীক্ষা নিতে এত সময় লাগল কেন? পূর্ব মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলা শাসক (উন্নয়ন) অজয় পাল বলেন, “পঞ্চায়েতের ওই দু’টি বিভাগে শূন্য পদের জন্য আবেদনকারীর সংখ্যা প্রায় ১ লক্ষ ৫৬ হাজার। জেলায় এক সঙ্গে এত বিপুল সংখ্যক আবেদনকারীর জন্য লিখিত পরীক্ষার আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো ও সময় প্রয়োজন। তাই পরীক্ষার আয়োজন করতে কিছুটা দেরি হয়েছে। আবেদনকারী সকলকেই পরীক্ষার জন্য ডাকা হয়েছে” তিনি জানান, প্রথম দফায় পঞ্চায়েত সহায়কের পদের জন্য পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। পরবর্তী ধাপে পঞ্চায়েত কর্মী পদের জন্য লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন