আয় বাড়াতে সমবায়ের মার্কেট কমপ্লেক্স

সমবায়ের আয় বাড়াতে নারায়ণগড়ে মার্কেট কমপ্লেক্সের উদ্বোধন হল শুক্রবার। এ দিন নারায়ণগড়ে নারমা সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির উদ্যোগে নির্মিত নারমা গ্রাম পঞ্চায়েতে ওই মার্কেট কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করেন বিদ্যাসাগর সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান তথা সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। সমবায় সমিতির কর্তাদের দাবি, এর ফলে একদিকে স্থানীয় এলাকার বাণিজ্যিক পরিকাঠামোর উন্নয়ন হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০২:০১
Share:

সমবায়ের আয় বাড়াতে নারায়ণগড়ে মার্কেট কমপ্লেক্সের উদ্বোধন হল শুক্রবার। এ দিন নারায়ণগড়ে নারমা সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির উদ্যোগে নির্মিত নারমা গ্রাম পঞ্চায়েতে ওই মার্কেট কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করেন বিদ্যাসাগর সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান তথা সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। সমবায় সমিতির কর্তাদের দাবি, এর ফলে একদিকে স্থানীয় এলাকার বাণিজ্যিক পরিকাঠামোর উন্নয়ন হবে। অন্য দিকে, ওই মার্কেট কমপ্লেক্সের স্টলগুলির ভাড়া থেকে সমবায়ের আয়ও বাড়বে। তাছাড়া স্থানীয় বাসিন্দারাও মার্কেট থেকে সহজেই প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে পারবে।

Advertisement

নারায়ণগড় ব্লকের প্রায় প্রতিটি অঞ্চলেই সমবায় সমিতি প্রতিষ্ঠা হলেও কোনও মার্কেট কমপ্লেক্স ছিল না। তাই সমবায়ের আয়ের পথ বাড়াতে নারমা সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি ১৮টি স্টল বিশিষ্ট মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়। ১০ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা ব্যয়ে এই মার্কেট কমপ্লেক্সটি গড়ে তোলা হয়েছে। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান প্রলয় সিংহ বলেন, “এই মার্কেট কমপ্লেক্সের মাধ্যমে এলাকা অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল হবে।”

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সমবায় আন্দোলনেও জোর দিয়ে শুভেন্দুবাবু বলেন, “সমবায় আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে কৃষকদের সঠিক পথ দেখাতে হবে।” তাঁর পরামর্শ, “এই সমিতি মার্কেট কমপ্লেক্সে স্টল করেছে। এক্ষেত্রে পরিচালনার খরচ কমিয়ে লাভ বাড়াতে হবে। আর আদায় একশো শতাংশ করতে হবে।” এই উদ্যোগের প্রশংসা করে তিনি বলেন,“গত তিন বছর আপনারা লাভ করেছেন। তবে ঋণ দেওয়ার অথবা আদায়ের ক্ষেত্রে আত্মীয়স্বজনের কথা ভাববেন না।”

Advertisement

একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের কিছু ভুল নীতি, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের উদারনীতির ফলে সমবায়গুলি নানা সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে চলছে। আমাদের দাবি, কেন্দ্রে আলাদা সমবায় দফতর করে সমবায়কে স্বীকৃতি দিতে হবে।” তৃণমূল সাংসদ বলেন, “১৯৯২ সালের পর থেকে বিভিন্ন অর্থলগ্নি সংস্থা মানুষের সর্বনাশ করেছে। সরকারি নির্দেশিকা বা সেবি-ইডি দিয়ে এদের আটকানো যাবে না। এদেরকে আটকাতে গেলে গ্রামে-গ্রামে সমবায় গড়ে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন