বালিচকে স্মারকলিপি

উড়ালপুলের জন্য জমি দেবেন রায়তরা, আশ্বাস

রেল গেটের উপরে উড়ালপুল হওয়ার কথা। শিলান্যাস হয়েছে চার বছর আগে। রেলের পক্ষ থেকে সমস্যা না থাকলেও উড়ালপুলের দু’দিকের সংযোগকারী রাস্তা নিয়ে জমি-জটে আটকে গিয়েছে। বিজ্ঞপ্তি জারির পরেও রায়ত জমির মালিকদের অধিকাংশ বেঁকে বসায় কাজ শুরু করা যায়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০১:৪১
Share:

বালিচক রেলগেটে যানজটে ভোগান্তি। নিজস্ব চিত্র।

রেল গেটের উপরে উড়ালপুল হওয়ার কথা। শিলান্যাস হয়েছে চার বছর আগে। রেলের পক্ষ থেকে সমস্যা না থাকলেও উড়ালপুলের দু’দিকের সংযোগকারী রাস্তা নিয়ে জমি-জটে আটকে গিয়েছে। বিজ্ঞপ্তি জারির পরেও রায়ত জমির মালিকদের অধিকাংশ বেঁকে বসায় কাজ শুরু করা যায়নি। এ বার অধিকাংশ রায়ত জমির মালিকের সম্মতিপত্র জমা করে পূর্ত দফতরের উপরে চাপ বাড়াল বালিচক স্টেশন উন্নয়ন কমিটি।

Advertisement

সোমবার দুপুরে ডেবরায় পূর্ত দফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারের কার্যালয়ে যান অরাজনৈতিক এই কমিটির সদস্যরা। সেখানে ডেবরা-সবং সড়কের বালিচক উড়ালপুলের কাজ শুরুর দাবি জানিয়ে একটি স্মারকলিপি জমা দেন উন্নয়ন কমিটির প্রতিনিধিরা। রায়ত জমির মালিকেরা জমি দিতে রাজি বলেও দাবি করা হয়। ৩৭ জন জমি মালিকের সই-সহ সম্মতিপত্রও জমা দেওয়া হয় পূর্ত দফতরের ওই কার্যালয়ে। এ দিন পূর্ত দফতরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার(হাইওয়ে ডিভিশন-১) সুমন কাঞ্জিলাল বলেন, “যদি প্রয়োজনীয় জমি পাওয়া যায় তবে ভাল। অবশ্য এর পরেও জমির খতিয়ান ও দাগ নম্বর দেখে প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। সেগুলি হয়ে গেলে নিশ্চয়ই উড়ালপুল নির্মাণের কাজে হাত দেওয়া যাবে। তবে নির্মাণকাজ চলাকালীন কী ভাবে সড়কের যান চলাচল সচল রাখা যায় সেটিও দেখতে হবে।”

২০১২ সালে মুকুল রায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন এই উড়ালপুলের অনুমোদন মেলে। সেই বছর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উড়ালপুলের শিলান্যাস করেন। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, রেল লাইনের ওপরের অংশ রেল গড়ার কথা থাকলেও উড়ালপুলের দু’দিকে ওঠার সংযোগকারী রাস্তা গড়বে রাজ্যকে। এ ক্ষেত্রে রাজ্যের প্রয়োজন জমির। কিন্তু সড়কের ধারে বালিচক বাজার এলাকায় রায়ত জমির পাশাপাশি দোকানপাট থাকায় জমি অধিগ্রহণ নিয়ে জটিলতা দেখা যায়। তবে রাজ্য নতুন জমি আইন করে জমি অধিগ্রহনের বদলে সরাসরি কিনে নেওয়ার কথা হয়েছে। সেই মতো গত ৫ মে বালিচকে একটি প্রশাসনিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরে সংবাদপত্রে নির্দিষ্ট জমির জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। কিন্তু এর পরেও ওই জমির মালিকেরা আগ্রহ প্রকাশ করে যোগাযোগ করেনি বলে অভিযোগ ছিল পূর্ত দফতরের।

Advertisement

বালিচক স্টেশন উন্নয়ন কমিটির দাবি, জমির বিজ্ঞপ্তি জারি করলেও জমিদাতাদের বুঝিয়ে জমি কেনার কোনও আলোচনা করেনি পূর্ত দফতর। তাই অনেক জমিদাতা কী লাভ হবে তা না জেনে জমি দিতে প্রাথমিকভাবে রাজি ছিলেন না। তাই কমিটির উদ্যোগে কয়েক মাস ধরে বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী জমিদাতাদের বাড়িতে গিয়ে বোঝানো হয়। কমিটির যুগ্ম সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারী বলেন, “৩৭ জনের সম্মতিপত্র পূর্ত দফতরে জমা করেছি। বাকিরাও সম্মতি দেবে। এর পরেও পূর্ত দফতর উদ্যোগী না হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে যাব।” জেলা পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শৈবাল গিরির অবশ্য দাবি, “আমরা বহুবার রায়ত জমির মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করতে চেয়েও সাড়া পাইনি। তিনবার বিজ্ঞপ্তি দিয়েছি। কেউ আগ্রহ দেখায়নি। এখন যদি কোনও কমিটি জমি মালিকদের রাজি করিয়ে সম্মতিপত্র জমা দেয় তবে দ্রুততার সঙ্গে উড়ালপুলের কাজ হবে এটুকু বলতে পারি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন