তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে নন্দীগ্রামের সামসাবাদ গ্রামপঞ্চায়েতের উপপ্রধানের পরিবারের বাড়ি ভাঙচুর, জিনিসপত্র লুঠের অভিযোগ উঠেছে দলেরই একাংশের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতে অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ। বুধবার থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের সামসাবাদ গ্রামপঞ্চায়েতে ১৩ জন সদস্য রয়েছে। গত বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনে ওই গ্রামপঞ্চায়েতে ৪ জন তৃণমূল সদস্য, ৯ জন নির্দল সদস্য জয়লাভ করে। পরবর্তী সময়ে নির্দল সদস্যরা সবাই তৃণমূলে যোগ দেয়। ওই গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান হিসেবে নির্দল সদস্য অতনু জানা ও উপপ্রধান হিসেবে সবিতা মণ্ডল দায়িত্ব নেন। কিন্তু নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ানের অনুগামী হিসেবে পরিচিত অতনু জানার সঙ্গে আর এক তৃণমূল নেতা আবু তাহেরের অনুগামী হিসেবে পরিচিত পঞ্চায়েত সদস্যদের বিরোধ বাধে। সম্প্রতি প্রধান অতনু জানার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেয় উপ-প্রধান সবিতা মণ্ডল-সহ ৭ জন পঞ্চায়েত সদস্য। আগামী ২৬ ডিসেম্বর প্রধানের বিরুদ্ধে ওই অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে সভা ডেকেছেন বিডিও। সভার আগেই উপ-প্রধান সবিতা মণ্ডলের সমর্থন পাওয়া নিয়ে তণমূলের কোন্দল চরমে উঠেছে।
কয়েকদিন আগে উপপ্রধানকে বাড়ি থেকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে অন্যত্র লুকিয়ে রাখা হয়েছে বলে পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন তাহের অনুগামীরা। মঙ্গলবার রাত ৮ টা নাগাদ তাহের অনুগামী স্থানীয় কয়েকজন তৃণমূল কর্মী সামসাবাদের পাইকবাড় গ্রামে উপপ্রধান সবিতা মণ্ডলের বাড়িতে চড়াও হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ানের অভিযোগ, “সবিতাদেবীর উপর চাপ সৃষ্টি করতে তিনদিন আগে সবিতাদেবীর শ্বশুরকে বাড়ি তুলে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখে দলেরই একাংশ। মঙ্গলবার রাতে সবিতাদেবীর বাড়িতে হামলাও হয়।”
নন্দীগ্রাম-১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি মেঘনাদ পাল বলেন, “দলকে উপেক্ষা করে ওই পঞ্চায়েত প্রধান বিভিন্ন কাজ করায় দলের সিদ্ধান্ত মেনে আমাদের দলের প্রতীকে জেতা উপপ্রধান, সবিতা দেবী-সহ অধিকাংশ সদস্য অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে এসেছে। কিন্তু সবিতাদেবী অনাস্থা প্রস্তাবে সমর্থন করতে সাহায্য না করায় ওই এলাকার আমাদের দলের কর্মীরা তাঁর বাড়িতে গিয়ে খোঁজ নিতে গিয়েছিল। হামলার অভিযোগ ঠিক নয়।”
আগুনে ক্ষতি। আগুন লেগে পুড়ে গেল দু’টি দোকান। মঙ্গলবার রাতে হলদিয়ার দুর্গাচকের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, একটি কাঠের আসবাবপত্র ও একটি মদের দোকান আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। প্রথমে কাঠের দোকানে আগুন ধরে। তারপর মদের দোকানেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে দমকলের তিনটি ইঞ্জিন ও দুর্গাচক থাকার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, শর্ট সার্কিটের ফলেই এমন ঘটনা।