কবিতা-গানে আজ দেবীপক্ষের সূচনা

শরৎ আসে কাশফুলে। নীল আকাশে। রোদ- মেঘের লুকোচুরিতে। আজ, মঙ্গলবার মহালয়া। দেবীপক্ষের সূচনা। ইতিমধ্যে মেদিনীপুরের মতো শহর প্রাক- দুর্গোৎসবে মেতেছে। মঙ্গলবার দিনভর শহর জুড়ে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন রয়েছে। কোথাও কবিতা পাঠ, কবিতা বিষয়ক আলোচনা সভার আয়োজন রয়েছে। কোথাও বা সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন রয়েছে। যে প্রতিযোগিতায় যোগ দেবে খুদেরাও। আগেও মহালয়ার দিনে শহরে অনুষ্ঠান হত। কিন্তু, এ বার অনুষ্ঠানের বহর বেড়েছে।

Advertisement

বরুণ দে

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০০:২০
Share:

চলছে প্রতিমার চক্ষুদান। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল।

শরৎ আসে কাশফুলে। নীল আকাশে। রোদ- মেঘের লুকোচুরিতে। আজ, মঙ্গলবার মহালয়া। দেবীপক্ষের সূচনা। ইতিমধ্যে মেদিনীপুরের মতো শহর প্রাক- দুর্গোৎসবে মেতেছে। মঙ্গলবার দিনভর শহর জুড়ে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন রয়েছে। কোথাও কবিতা পাঠ, কবিতা বিষয়ক আলোচনা সভার আয়োজন রয়েছে। কোথাও বা সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন রয়েছে। যে প্রতিযোগিতায় যোগ দেবে খুদেরাও। আগেও মহালয়ার দিনে শহরে অনুষ্ঠান হত। কিন্তু, এ বার অনুষ্ঠানের বহর বেড়েছে।

Advertisement

দেবীপক্ষের সূচনার দিনেই দিনভর শহরে ‘আই-ফেস্ট’- এর আয়োজন করা হয়েছে। শহরের রবীন্দ্রনগরের ফেডারেশন হলে হবে এই অনুষ্ঠান। বছর কয়েক আগে মেদিনীপুরে গড়ে ওঠে ‘আই- সোসাইটি’ নামে এক সংস্থা। সেই সংস্থার উদ্যোগেই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন। থাকছে কবিতা পাঠ, কবিতা বিষয়ক আলোচনা সভা, হ্যাম রেডিও বিষয়ক আলোচনা সভা প্রভৃতি। থাকছে পত্রিকা ও বই প্রকাশও। উদ্যোক্তাদের পক্ষে বিশ্ব বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌমিত্র রায় প্রমুখ বলেন, “এখন সাইবার প্রযুক্তির সঙ্গে সাহিত্যের মেলবন্ধন ঘটেছে। এই যুগ আই- যুগ। যুগের নতুন নতুন দিকচিহ্ণ নিয়ে সাহিত্য উপস্থিত হচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তি ধারণায় উদ্ভাবনী চিন্তাচেতনা বাড়ছে। তাই অনুষ্ঠানের নাম রাখা হয়েছে ‘আই-ফেস্ট’। সৌমিত্রবাবুর কথায়, “এই দিন আমাদের সংস্থার মুখপত্র ‘আই-সোসাইটি’র মুদ্রণ সংস্করণের প্রকাশও হবে।” সাংস্কৃতিক সংস্থা ‘স্বরলিপি’র বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও হবে দেবীপক্ষের সূচনার দিন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শহরের প্রদ্যোৎ স্মৃতি সদনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছে।

মহালয়ার দিনে বেশ কয়েকটি পুজো কমিটিও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। আঁকা প্রতিযোগিতা রয়েছে শহরের রবীন্দ্রনগরেও। রবীন্দ্রনগর নাগরিক সমিতির উদ্যোগে এখানে দুর্গোৎসবের আয়োজন করা হয়। পুজো কমিটির পক্ষে সোমনাথ দাস বলেন, “প্রতিযোগিতা ঘিরে এলাকার ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনাও রয়েছে।”

Advertisement

বঙ্কিম স্মৃতি সবপেয়েছির আসরের উদ্যোগেও মাতৃপক্ষের সূচনার দিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। আঁকার পাশাপাশি রয়েছে আবৃত্তি, সঙ্গীত, নৃত্য প্রতিযোগিতাও। আসরের পক্ষে সাধন দে বলেন, “প্রতি বছরই এই দিনে আমরা সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করি।” উদ্যোক্তাদের মতে, উন্মুখ ধরাবাসী মায়ের আহ্বানে যখন ব্যাকুল, তখন নতুন প্রজন্মের মধ্যে উদার সংস্কৃতি চেতনার বিকাশ ঘটাতে এই উদ্যোগ।

মা আসছেন। নদীঘাটে তর্পণ, রেডিওয় বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠ তো রয়েছেই। নানা অনুষ্ঠানে আজ থেকেই সেই উৎসব যেন আর রঙিন হতে চলেছে। দেবীর আবাহন তো আজ থেকেই শুরু।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন