কলকাতার হস্টেল থেকে মেদিনীপুরে বাড়ি ফেরার পথে তমলুকের রূপনারায়ণ নদীর ধারে এক ছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশ ওই তরুণীর প্রেমিককে গ্রেফতার করেছে। বুধবার রাতে মেদিনীপুর শহরের বিবেকানন্দ নগরের বাসিন্দা অনির্বাণ দে নামে ওই যুববকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, আলোলিকা দোলুই নামে মৃত ওই কলেজ ছাত্রীর বাবা ওই যুবকের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তার ভিত্তিতেই এই গ্রেফতার। বৃহস্পতিবার তাঁকে তমলুক মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মেদিনীপুর শহরের ধর্মা এলাকার বিবেকানন্দ নগরের বাসিন্দা আলোলিকা দলুই (১৮) নামে ওই তরুণী কলকাতার যোধপুর উইমেনস পলিটেকনিক কলেজের কম্পিউটার সায়েন্সের প্রথম বর্ষে পড়াশোনা করতেন। তাঁর সঙ্গে মেদিনীপুর শহরেরই বাসিন্দা অনির্বাণ দে’র সম্পর্ক ছিল। ওই যুবকের সঙ্গে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন আলোলিকা। কিন্তু আলোলিকার পরিবারের লোকেরা ওই যুবকের সঙ্গে বিয়ে দিতে অস্বীকার করায় টানাপোড়েন চলছিল।
গত ২৪ মে সকালে আলোলিকা কলকাতার হস্টেল থেকে বাড়ি ফেরার কথা জানিয়ে বেরিয়ে আসেন। কিন্তু পরে রাত অবধি বাড়ি না ফেরায় পরিজনরা চিন্তায় পড়েন। রাতে সহপাঠীরা আলিপুর থানায় ওই ছাত্রীর নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেন পরদিন সকালে তমলুক শহরের পায়রাটুঙ্গির কাছে রূপনারায়ণ নদীর ধারে ওই ছাত্রীর মৃতদেহ দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। ওই তরুণীর সঙ্গে থাকা একটি ব্যাগে পরিচয় পত্র দেখে বাড়ির লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তমলুক থানার পুলিশ। ওই তরুণীর বাবা অনন্ত দোলুই মেয়ের এই মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর প্রেমিক অনির্বাণ দে’র বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আলোলিকার সঙ্গে ওই যুবকের সঙ্গে কয়েক বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ওই তরুণী কলেজ হস্টেল থেকে বের হওয়ার দিনে ওই যুবকের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে ওই তরুণী নিখোঁজ হওয়ার পরে ওই যুবক আর কোন যোগাযোগের চেষ্টা করেননি। জিজ্ঞাসাবাদে ওই যুবকের কথায় বেশ কিছু অসঙ্গতি পাওয়া গিয়েছিল। ওই তরুণীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় যুবকের জড়িত থাকার কিছু সূত্র পাওয়া গিয়েছে। এরপরেই ওই তরুণীর মৃত্যুর ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ওই যুববকে গ্রেফতার করা হয়েছে।