কড়া পাহারা, পূর্বে নির্বিঘ্নে চলছে নিরঞ্জন

দশমীর শেষে প্রতিমা বিসর্জন নির্বিঘ্নেই সম্পন্ন হচ্ছে পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকায়। জেলার সর্বত্র শুক্রবার রাত থেকে বিসর্জনের পালা শুরু করে দেন জেলার পুজো উদ্যোক্তারা। শনিবার রাতেও জেলার বিভিন্ন এলাকায় নদীতে বা জলাশয়ে প্রতিমা বিসর্জনের পালা চলে। তবে জেলার কয়েকটি মণ্ডপে এখনও প্রতিমা রয়েছে। আজ, রাতে সেগুলি বিসর্জন করা হবে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০১৪ ০০:২৪
Share:

দশমীর শেষে প্রতিমা বিসর্জন নির্বিঘ্নেই সম্পন্ন হচ্ছে পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকায়। জেলার সর্বত্র শুক্রবার রাত থেকে বিসর্জনের পালা শুরু করে দেন জেলার পুজো উদ্যোক্তারা। শনিবার রাতেও জেলার বিভিন্ন এলাকায় নদীতে বা জলাশয়ে প্রতিমা বিসর্জনের পালা চলে। তবে জেলার কয়েকটি মণ্ডপে এখনও প্রতিমা রয়েছে। আজ, রাতে সেগুলি বিসর্জন করা হবে। পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সুকেশকুমার জৈন বলেন, “জেলার সর্বত্র প্রতিমা বিসর্জনের প্রক্রিয়া নির্বিঘ্নে হচ্ছে। জেলার ৬৬৯টি সর্বজনীন পুজোর মধ্যে শনিবার রাত পর্যন্ত ৫৯০টির বিসর্জন হয়েছে। বাকি প্রতিমা বিসর্জন হবে সোমবার রাত আটটার পরে। বিসর্জনকে কেন্দ্র করে অশান্তির ঘটনা ঘটেনি।”

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বছর সপ্তমীর সন্ধ্যা থেকেই জেলার বড় মণ্ডপগুলিতে ভিড় উপচে পড়েছিল। আবাহয়াওয়া ভাল থাকায় সব বয়সি মানুষের ভিড় জমেছিল মণ্ডপে। অষ্টমী, নবমীর রাতেও ঠাকুর দেখতে জনতার ঢল নামে বলে বিভিন্ন বড় পুজো উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন। ভিড়ের পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশের সাথে পুজো উদ্যোক্তাদের স্বেচ্ছাসেবকরা হাত মিলিয়ে কাজ করেন যথারীতি দশমীর শেষে বিসর্জনের পালাও শুরু হয়। তিথি মেনে কোথাও কোথাও শুক্রবার রাতেই প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়েছে। আবার কোথাও শনিবার রাতে বিসর্জন দেওয়ার পালা চলে। জেলা সদর তমলুক শহরের অধিকাংশ মণ্ডপের প্রতিমা বিসর্জন হয়েছে শনিবার রাতেই। শুক্রবার রাতেই তমলুকের পায়রাটুঙি সর্বজনীন দুর্গোসব কমিটির প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয় রূপনারায়ণ নদী সংলগ্ন পায়রাটুঙি খালে। শনিবার রাতে তমলুক আবাসবাড়ি ফ্রেন্ডস ইউনিয়নের প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয় পাশের বানপুকুরে। বিভিন্ন পুজো মণ্ডপের প্রতিমা বিসর্জনের আগে শোভাযাত্রা করে এলাকা পরিক্রমা চলে। বিসর্জনের আগে বিভিন্ন মণ্ডপ প্রাঙ্গণে মহিলাদের সিঁদুর খেলার আয়োজন করা হয়। শনিবার রাতে কোলাঘাট শহরের অধিকাংশ প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয় রূপনারায়ণ নদীতে। পাঁশকুড়া শহরের অধিকাংশ প্রতিমা বিসর্জন হয় শনিবার রাতে।

একই ছবি কাঁথির বিভিন্ন এলাকাতেও। দশমীর সকালেও কাঁথির পুজো মণ্ডপগুলিতে প্রতিমা দর্শনের ভিড় ছিল নজরে পড়ার মতো। দশমীর সন্ধ্যায় কাঁথিতে নান্দনিক ক্লাবের উদ্যোগে ‘রাবণ বধ’ বা ‘রাবণ দহন’ অনুষ্ঠিত হয়। অশুভ শক্তির বিনাশ ও শুভ শক্তির উদয়ের প্রতীক ‘রাবণ দহণ’ দেখতে শুধু কাঁথি শহর নয়, মহকুমার বিভিন্ন এলাকা থেকে ভিড় জমান অনেকেই। শনিবারের এই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন দক্ষিণ কাঁথির বিধায়ক দিব্যেন্দু অধিকারী, এসডিপিও ইন্দ্রজিৎ বসু, পুরপ্রধান সৌমেন্দু অধিকারী ও কাঁথি থানার আইসি সুবীর রায়। বিকেলে সারস্বতী ক্লাবে মহিলাদের ‘সিঁদুরখেলা’ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন মহিলারা। ঘরোয়া পুজোগুলির বেশির ভাগ প্রতিমা শুক্রবার নিরঞ্জন হলেও শনিবার রাতে কাঁথির সমস্ত প্রতিমা নিরঞ্জন করা হয়। শহরের সাধু জানার পুকুর ও ক্যানেলপাড়ে ভোর রাত পর্যন্ত ভিড় উপচে পড়েছিল। নিরঞ্জন উপলক্ষে কাঁথি পুরসভার পক্ষ থেকে আলো-সহ বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। শান্তি শৃঙ্গখলা ও নিরাপত্তার জন্য প্রচুর পুলিশি ব্যবস্থাও ছিল পর্যাপ্ত। রবিবার সকাল থেকেই মিষ্টিমুখের জন্য শহরের মিষ্টির দোকানগুলিতে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। শনিবার কাঁথিতে প্রতিমা নিরঞ্জন হলেও দিঘা ও রামনগরে রাত আটটার পর প্রতিমা নিরঞ্জন করা হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন