রাজ্য সরকারের নির্দেশে পশ্চিম মেদিনীপুরে গঠিত হল ‘ডিস্ট্রিক্ট স্পোটর্স কাউন্সিল’। খেলাধুলোর উন্নয়নেই কাজ করবে এই কমিটি। কাউন্সিলের সভাপতি জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা। যুগ্ম সহ-ভাপতি পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ এবং অতিরিক্ত জেলাশাসক সুশান্ত চক্রবর্তী। আহ্বায়ক জেলা যুব কল্যাণ আধিকারিক সত্যব্রত হালদার। জেলা প্রশাসন জানায়, গত শুক্রবার ‘ডিস্ট্রিক্ট স্পোটর্স কাউন্সিল’ গঠন করা হয়েছে।
রাজ্য সরকারের ক্রীড়া উন্নয়ন সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রকল্প জেলায় রূপায়ণ করবে এই কমিটি। কমিটির উদ্যোগে বিভিন্ন টুর্নামেন্টও হবে। টুর্নামেন্টে নতুন প্রতিভা খোঁজা হবে। তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। জেলাস্তরে কাউন্সিলের একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পশ্চিম মেদিনীপুরে জেলা ক্রীড়া সংস্থা রয়েছে। এতদিন এই সংস্থাই বিভিন্ন টুর্নামেন্টের আয়োজন করত। জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, “দু’টো কমিটির মধ্যে ফারাক আছে। দু’টির কাজও আলাদা। ক্রীড়া সংস্থার কয়েকজন পদাধিকারে কাউন্সিলেরও সদস্য।” গত মাসেই জেলা ক্রীড়া সংস্থার দায়িত্ব নিয়েছে নতুন কমিটি। পদাধিকার বলে এই সংস্থার সভাপতিও জেলাশাসক। সহ-সভাপতি পুলিশ সুপার। সহ-সভাপতি পদে রয়েছেন এম বি দে, আশিস চক্রবর্তীও।
জেলা জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে ক্রীড়া প্রতিভা। তবে অনেকেই সুযোগ পায় না। প্রয়োজনীয় ক্রীড়া-পরিকাঠামোও গড়ে ওঠেনি। ব্লকস্তরে তেমন টুর্নামেন্ট হয় না। পুলিশের উদ্যোগে অবশ্য গত কয়েক বছর ধরে ফুটবল টুর্নামেন্ট হচ্ছে। জেলা পুলিশের এক কর্তার কথায়, “এমন টুর্নামেন্টের ফলে সাধারণ মানুষের সঙ্গে পুলিশের যোগাযোগ বাড়ে, এটা একটা দিক। তেমনই অনেক প্রতিভা সামনে উঠে আসে।” স্পোর্টস কাউন্সিলের এক সদস্য মানছেন, “জেলা থেকে প্রতিভা তুলে আনতে গেলে পরিকাঠামো গড়ে তোলা জরুরি। ক্রিকেট, ফুটবলে মফস্সল থেকেও এখন অনেক খেলোয়াড় উঠে আসছে। সরকারি উদ্যোগে টুর্নামেন্ট হলে আরও বেশি প্রতিভার খোঁজ মিলবে। যারা ভবিষ্যতে রাজ্য, এমনকী জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে।”
‘ডিস্ট্রিক্ট স্পোটর্স কাউন্সিল’- এর আহ্বায়ক তথা জেলা যুব কল্যাণ আধিকারিক সত্যব্রত হালদার বলেন, “রাজ্য সরকারের গাইডলাইন মেনেই স্পোটর্স কাউন্সিল গঠন হয়েছে। জেলায় খেলাধুলোর উন্নয়নে সব রকম চেষ্টা করবে এই কমিটি।”