চাকরিতে দুর্নীতির নালিশ, বিক্ষোভ তৃণমূলের অফিসে

অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে সহায়িকা নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তৃণমূলের ব্লক কার্যালয়ে বিক্ষোভ দেখালো দলেরই নেতা-কর্মীরা। শুক্রবার চন্দ্রকোনা শহরের ঘটনা। অভিযোগ, বিক্ষোভ চলাকালীন তৃণমূলের চন্দ্রকোনা-২ ব্লক সভাপতি অমিতাভ কুশারীকে হেনস্থা করা হয়। ভাঙচুর চালানো হয় ব্লক অফিসেও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঘাটাল শেষ আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০১৪ ০১:২০
Share:

অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে সহায়িকা নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তৃণমূলের ব্লক কার্যালয়ে বিক্ষোভ দেখালো দলেরই নেতা-কর্মীরা। শুক্রবার চন্দ্রকোনা শহরের ঘটনা। অভিযোগ, বিক্ষোভ চলাকালীন তৃণমূলের চন্দ্রকোনা-২ ব্লক সভাপতি অমিতাভ কুশারীকে হেনস্থা করা হয়। ভাঙচুর চালানো হয় ব্লক অফিসেও। প্রায় এক ঘণ্টা ব্লক সভাপতিকে ঘেরাও করে রাখার পর আলোচনার আশ্বাসে বিক্ষোভ উঠে যায়। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি অমিতাভ কুশারী বলেন, “এটা ঠিক, দলেরই কয়েকজন কর্মী এ দিন ব্লক অফিসে এসে বিক্ষোভ দেখান।” যদিও তিনি হেনস্থার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

Advertisement

বেশ কয়েক বছর ধরেই চন্দ্রকোনা-২ ব্লকের একাধিক অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে কোনও সহায়িকা নেই। ফলে ধুঁকছিল কেন্দ্রগুলি। সম্প্রতি একাধিক ব্লকে অঙ্গনওয়াড়িতে সহায়িকা ও কর্মী নিয়োগের প্রস্তুতি শুরু হয়। ব্লক প্রশাসন সূত্রে খবর, গত সেপ্টেম্বর মাসে পরীক্ষায় চন্দ্রকোনা-২ ব্লকে মোট ৮৮টি সহায়িকা পদের জন্য ১ হাজার ১৪৫ জন পরীক্ষা দেন। বৃহস্পতিবার ওই পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। শুক্রবার পরীক্ষার ফল জানাজানি হতেই অধিকাংশ কর্মপ্রার্থী নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, নিয়োগে অস্বচ্ছতা রয়েছে। যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের অধিকাংশই মোটা অর্থের বিনিময়ে নিয়োগপত্র পেয়েছেন। প্রসঙ্গত, এই নিয়োগ কমিটিতে মোট সাত জন রয়েছেন। কমিটিতে দফতরের ব্লক ও জেলা আধিকারিক, বিডিও, মহকুমাশাসক, মন্ত্রীর এক প্রতিনিধি, বিএমওএইচ রয়েছেন। মনিটরিং কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি তথা বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতো।

বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, মোটা টাকার বিনিময়ে এই নিয়োগ হয়েছে। এক্ষেত্রে দরিদ্র ও মেধাবী পরীক্ষার্থীদের চাকরি হয়নি। যাঁরা ভাল পরীক্ষা দিয়েছিলেন, তাঁরা বঞ্চিত হয়েছেন। তৃণমূলের একটি সূত্রে খবর, ব্লক সভাপতি অমিতাভ কুশারীর ঘনিষ্ট বলে পরিচিত এক যুব নেতা পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া দেখভাল করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তৃণমূল নেতা বলেন, “নিয়োগে এক-দেড় লক্ষ টাকা নেওয়া হয়েছে। বেশ কিছু তথ্য, প্রমাণও পাওয়া গিয়েছে।” তিনি জানান, এই প্যানেল বাতিল না হলে আমরা নিয়োগ নিয়ে হাইকোর্টে মামলা করব।

Advertisement

নিয়োগের মনিটরিং কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান শ্রীকান্ত মাহাতো বলেন, “কমিটির অধিকাংশই সরকারি আধিকারিক। তাই দুর্নীতির কোনও প্রশ্নই নেই। যাঁরা অভিযোগকারীরা ভুলপথে পরিচালিত হয়ে এই কাজ করছেন।” ব্লকের বিডিও গৌরীশঙ্কর ভট্টাচার্য বলেন, “নিয়োগ নিয়ে কোনও দুর্নীতির কথা আমার জানা নেই।” অমিতাভবাবু বলেন, “নিয়োগ নিয়ে দলীয় স্তরে খোঁজ খবর নিয়ে দেখব। এখনই এনিয়ে মন্তব্য করব না।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন