মাসখানেক আগেই জমি সংক্রান্ত ঝামেলার জেরে সুতাহাটার এক মহিলাকে নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছিল গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে। এ বার চুরির অপবাদে গ্রামের এক মহিলার চুল কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠল স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার বিরুদ্ধে। বুধবার এই ঘটনা ঘটেছে হলদিয়া থানা এলাকার সুতাহাটা লাগোয়া একটি গ্রামে। বৃহস্পতিবার সকালে মহিষাদল থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন ওই মহিলা। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হলদিয়া) অমিতাভ মাইতি বলেন, “অভিযুক্তরা পলাতক। তবে ঘটনার তদন্ত চলছে।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর তিরিশের ওই মহিলার স্বামী বছর দশেক ধরে নিখোঁজ। তাই ওই মহিলা, মা ও বারো বছরের মেয়েকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে থাকেন। ভিক্ষা করেই দিন কাটে ওই মহিলার। নিগৃহীতার মা বলেন, “বুধবার ভিক্ষা করে ফিরতে মেয়ের ফিরতে দেরি হচ্ছিল। জানতে পারি, পাশের গ্রামে মেয়েকে চুরির অভিযোগে বেঁধে মারধর করা হচ্ছে।” এরপর উপপ্রধান ও গ্রামবাসীদের নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার করা হয় ওই মহিলাকে। তাঁকে মহিষাদল ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে বুদ্ধদেব মাইতি-সহ দশজন গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা।
মহিলা বলেন, “সকাল দশটা নাগাদ আমি গ্রামে ঢোকার পরই বুদ্ধদেব মাইতি ও কয়েকজন বলেন, আমি না কি ওদের বাড়ির ঠাকুরের পেতলের বাসন ও অন্যান্য সামগ্রী চুরি করেছি। আমি প্রতিবাদ করায় প্রায় বিবস্ত্র করে খঁুটিতে বেঁধে মারধর করা হয়। এমনকী চুলও কেটে নেওয়া হয়।” ওই মহিলার গ্রামের প্রধান বলেন, “যেভাবে একজন মহিলার উপর অত্যাচার করা হয়েছে তা মধ্যযুগীয় বর্বরতা। ওই মহিলার বিরুদ্ধে চুরির প্রমাণ থাকলে প্রশাসন দেখতো। অত্যাচারীদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।” যে গ্রামে নিগৃহীতা হয়েছেন ওই মহিলা, সেই গ্রামের প্রধান বলেন, “অত্যন্ত অমানবিক ও বেআইনি ঘটনা। এমন ঘটনা আমরাও সমর্থন করি না।”