সাঁকরাইল জোনাল সম্মেলন

জেল হেফাজতে থাকা বাদলই ফের সম্পাদক

পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীনই সিপিএমের সাঁকরাইল জোনাল কমিটির সম্পাদক পদে পুনর্নির্বাচিত হলেন বাদল রাণা। বৃহস্পতিবার পতাকা উত্তোলন করে জোনাল সম্মেলনের উদ্বোধন করেন সিপিএমের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক দীপক সরকার। জেল হেফাজতে থাকাকালীন সম্পাদক পদে নির্বাচিত হওয়া অবশ্য সিপিএমে নতুন কিছু নয়। ২০১১ সালে জেল হেফাজতে থাকাকালীন অনুজ পাণ্ডেও সিপিএমের লালগড় জোনাল কমিটির সম্পাদক পদে পুনর্নির্বাচিত হন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সাঁকরাইল শেষ আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০১৪ ০১:২৬
Share:

সাঁকরাইলে সিপিএমের মিছিলে মধ্যমণি দীপক সরকার। নিজস্ব চিত্র।

পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীনই সিপিএমের সাঁকরাইল জোনাল কমিটির সম্পাদক পদে পুনর্নির্বাচিত হলেন বাদল রাণা। বৃহস্পতিবার পতাকা উত্তোলন করে জোনাল সম্মেলনের উদ্বোধন করেন সিপিএমের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক দীপক সরকার।

Advertisement

জেল হেফাজতে থাকাকালীন সম্পাদক পদে নির্বাচিত হওয়া অবশ্য সিপিএমে নতুন কিছু নয়। ২০১১ সালে জেল হেফাজতে থাকাকালীন অনুজ পাণ্ডেও সিপিএমের লালগড় জোনাল কমিটির সম্পাদক পদে পুনর্নির্বাচিত হন। সিপিএম নেতৃত্বের ব্যাখ্যা, কেউ অভিযুক্ত হলেই তাঁর দোষ প্রমাণিত হয় না। তাছাড়া, বাদলবাবুকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। তৃণমূলের নির্দেশে মিথ্যা মামলা রুজু করেছে পুলিশ।

এ দিন দলের সভায় ভালই ভিড় হয়। জোনাল সম্মেলন উপলক্ষে ব্লক সদর রোহিণীতে এই প্রকাশ্য সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সিপিএমের জেলা সম্পাদক দীপকবাবুও তৃণমূল-বিজেপির কড়া সমালোচনা করেন। সেই সঙ্গে ভয়-ভীতি উপেক্ষা কর্মী-সমর্থকেরা সভায় আসায় তাঁদের অভিনন্দন জানান। দীপকবাবুর কথায়, “তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গোলমাল হয়েছে। অথচ, মিথ্যা মামলায় বাদল রাণার নাম জড়িয়ে দেওয়া হল। এটা পরিকল্পিত চক্রান্ত।” রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে দুর্নীতিবাজ, গণতন্ত্র নিধনকারী, তোলাবাজ বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। দীপকবাবুর কথায়, “সিবিআই তদন্ত করছে আর একের পর এক ধরা পড়ছেন। এখনও বড় রাঘববোয়াল ধরা পড়েননি!” আর বিজেপি প্রসঙ্গে এই সিপিএম নেতার অভিমত, “বিজেপি আদ্যোপান্ত সাম্প্রদায়িক দল। তৃণমূলের হাত ধরেই তারা এ রাজ্যে জায়গা করেছে।”

Advertisement

তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে ভাঙচুর-লুঠের অভিযোগে গত মঙ্গলবার গ্রেফতার হন সিপিএমের সাঁকরাইল জোনাল কমিটির সম্পাদক বাদল রাণা। সাঁকরাইলের কুলটিকরি গ্রামের বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। একই অভিযোগে আরও চার সিপিএম কর্মীকেও গ্রেফতার করা হয়। বুধবারই বাদলবাবুকে তিন দিনের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে ঝাড়গ্রাম আদালত।

তৃণমূল সমর্থক এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগে বছর খানেক আগেও এক বার গ্রেফতার হন বাদলবাবু। অবশ্য আদালতে ওই মহিলা ধর্ষণের ঘটনাটি অস্বীকার করায় বেকসুর খালাস পান তিনি। পরে ওই মহিলার স্বামী সংবাদমাধ্যমে অভিযোগ করেন, তাঁর স্ত্রীকে চাপ দিয়ে মিথ্যা অভিযোগ করানো হয়েছিল। ২০১১ সালে সিপিএমের সাঁকরাইল জোনাল কমিটির সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন বাদলবাবু। এ দিন তিনি এই পদে পুনর্নির্বাচিত হলেন। আগে সাঁকরাইল জোনাল কমিটির সদস্য সংখ্যা ছিল ১১। এ বার সদস্য সংখ্যা ১৭ হয়েছে। এ দিন যদিও ১৪ জনের নাম ঘোষণা করা হয়। নতুন কমিটিতে পুরনো কমিটির ৮ জন আছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন