সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসে রবিবার সকালে জলমগ্ন হয়ে পড়ে দিঘার উপকূল সংলগ্ন এলাকা। পরিস্থিতি দেখে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকের মাধ্যমে পর্যটকদের সমুদ্রের ধারে যেতে নিষেধ করা হয়। এর জেরে সৈকতে সংলগ্ন বেশ কিছু দোকানের ক্ষতি হয়। ছবি: সোহম গুহ।
রূপনারায়ণের জোয়ারের জলে প্লাবিত হল তমলুক শহরের উত্তর ও দক্ষিণ চড়া শঙ্করআড়ার বেশ কিছু এলাকা। রবিবার দুপুরে পূর্ণিমার ভরা জোয়ারের জল রূপনারায়ণের বাঁধ টপকে তমলুক শহরের দক্ষিনচড়া এলাকার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কিছু এলাকায় ঢুকে পড়ে। ফলে ওই এলাকার বেশ কিছু বাড়িঘর প্লাবিত হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে মূল নদী বাঁধে আশ্রয় নেন। অন্য দিকে শহরের শঙ্কর উত্তরচড়া এলাকায় নদী বাঁধের একটি একটি খোলা কালভার্ট দিয়ে রূপনারায়ণের জোয়ারের জল ঢুকেও কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। তমলুক পুরসভার কাউন্সিলর তথা প্রাক্তন পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ সেন বলেন, “পূর্ণিমার ভরা জোয়ার এতটাই বেশী ছিল যে জল নদীবাঁধের উপর কয়েক ফুট উচু হয়ে বসতি এলাকায় ঢুকেছে। ফলে বেশ কিছু কাঁচা বাড়ি প্লাবিত হয়ে ধসে পড়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। পুরসভার তরফ থেকে বাসিন্দাদের সাহায্যের চেষ্টা করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত নদীবাঁধ মেরামতির জন্য প্রশাসনের কাছে জানানো হয়েছে।”
আবার, সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হল মন্দারমণি ও দিঘা। রবিবার সকালে জোয়ারের সময় সমুদ্রের ঢেউয়ের উচ্চতা ১০-১৫ ফুট পর্যন্ত উচ্চতায় উঠে যায়। জলোচ্ছ্বাসে দিঘা শহরের উপকূল সংলগ্ন এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। পুলিশ-প্রশাসন ও দিঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে মাইকের মাধ্যমে প্রচার করে পর্যটক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়। জল ঢুকে সমুদ্রের পাড়ে অবস্থিত ছোট দোকানগুলিরও ক্ষতি হয়। দিঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী জানান, সাম্প্রতিক কালে দিঘায় এই ধরনের সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস ঘটেনি। জলোচ্ছ্বাসে দিঘা শহর প্লাবিত হয়। সৈকতের ধারের দোকানগুলি জলোচ্ছ্বাসে ভেঙে পড়ে। দিঘা থানার ওসি সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, মন্দারমণিতেও সমুদ্রের জোয়ারের জলে সৈকত তীরবর্তী বিভিন্ন হোটেল ও লজের পাঁচিল ভেঙে যায়। জোয়ারের জলে মন্দারমণিতে নির্মীয়মাণ নতুন রাস্তারও ক্ষতি হয়।