জমি জটে ধাক্কা খাবে নদী সংস্কার, আশঙ্কা

জমি অধিগ্রহণ না হওয়ায় কেলেঘাই-কপালেশ্বরী নদীর সংস্কার প্রকল্প ধাক্কা খাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন কংগ্রেস বিধায়ক মানস ভুঁইয়া। বৃহস্পতিবার সবং ব্লক প্রশাসনিক কার্যালয়ে কেলেঘাই-কপালেশ্বরী নদীর দ্বিতীয় পর্যায়ের সংস্কারের কাজ শুরুর আগে এক বৈঠক হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০১৫ ০০:১৬
Share:

জমি অধিগ্রহণ না হওয়ায় কেলেঘাই-কপালেশ্বরী নদীর সংস্কার প্রকল্প ধাক্কা খাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন কংগ্রেস বিধায়ক মানস ভুঁইয়া। বৃহস্পতিবার সবং ব্লক প্রশাসনিক কার্যালয়ে কেলেঘাই-কপালেশ্বরী নদীর দ্বিতীয় পর্যায়ের সংস্কারের কাজ শুরুর আগে এক বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে মানসবাবু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রকল্পের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার শুভাশিস পাত্র, জেলা পরিষদ সদস্য অমূল্য মাইতি, বিকাশ ভুঁইয়া, রীতা জানা, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অমল পণ্ডা প্রমুখ। এ দিনের বৈঠকে নদীর দ্বিতীয় পর্যায়ের সংস্কার কী ভাবে হবে তা নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে জানানো হয়, জমি অধিগ্রহণ এখনও না হওয়ায় কেলেঘাই ও কপালেশ্বরী নদীর দুই পাড়ে ৫০ মিটারের বেশি গভীরতা পর্যন্ত মাটি কাটা যাবে না।

Advertisement

দীর্ঘ দিন ধরে কেলেঘাই-কপালেশ্বরী, বাগুই, চণ্ডীয়া নদীর সংস্কার না হওয়ায় প্রতিবছর বন্যার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হত পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়, পিংলা, সবং ও পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না, ভগবানপুর ও পটাশপুর এলাকা। ২০১০ সালে নদী সংস্কারের জন্য বরাদ্দ হয় ৬৫০ কোটি টাকা। বরাদ্দের একটি বড় অংশ দিয়ে সংস্কারের প্রথম পর্যায়ের কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। এ বার দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ হবে সবংয়ের শ্যামকিশোরপুর থেকে নারায়ণগড়ের পোক্তাপোল পর্যন্ত। প্রকল্পের কাজ সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করতে এ দিন এক বৈঠক ডাকা হয়।

বৈঠকে জানা গিয়েছে, আগে কেলেঘাই ও কপালেশ্বরী নদীর দুই পাড় বরাবর ১০০ মিটার পর্যন্ত মাটি কাটা হবে বলে জানানো হয়েছিল। যদিও জমি অধিগ্রহণ না হওয়ায় নদীর দুই পাড় বরাবর ৫০ মিটারের বেশি মাটি কাটা যাবে না বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। প্রকল্পের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার শুভাশিস পাত্র বৈঠকে জানান, নতুন জমি আইন অনুযায়ী জমি অধিগ্রহণের পদ্ধতি এখনও দফতরের হাতে এসে পৌঁছয়নি। ফলে জমি চেয়ে আবেদন করা যাচ্ছে না। তাই আপাতত যে জমি রয়েছে তাতেই সংস্কারের কাজ শুরু হওয়া প্রয়োজন। পরে জমি পাওয়া গেলে পুনরায় খননের বিষয়ে চিন্তা করে দেখা হবে।

Advertisement

প্রশাসন সূত্রে খবর, জমি জটের জেরে কোথাও ৩০মিটার কোথাও ৫০ মিটারের বেশি গভীরতা পর্যন্ত নদী পাড়ের মাটি কাটা যাবে না। মানসবাবু বলেন, ‘‘৪০ বছর ধরে ওই এলাকার মানুষকে নিয়ে আমি লড়াই করেছি। রাজ্য জমি অধিগ্রহণ না করায় ওই মানুষগুলি বঞ্চিত হবে। এ বিষয়ে সেচমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীকে জানাব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন