ভেঙে গিয়েছে নদীবাঁধ। জমিদারি বাঁধেও ধরেছে ফাটল। বৃষ্টি নামতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছে ডেবরার ৫৩টি গ্রাম। এই পরিস্থিতিতে বাঁধ সংস্কারে তৎপর হল সেচ দফতর ও পঞ্চায়েত সমিতি। বৃহস্পতিবার ডেবরা ব্লকের ভবানীপুর পঞ্চায়েত এলাকায় ঘুরে বাঁধের ফাটল দেখলেন সেচ দফতরের প্রতিনিধিরা। আপাতত জমিদারি বাঁধ মেরামতের সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেচ দফতরের কারিগরি সহযোগিতায় পঞ্চায়েত সমিতির বরাদ্দকৃত অর্থে সংস্কার হবে। পরে নদী বাঁধ সংস্কার করবে সেচ দফতর।
কাঁসাই নদী ঘেঁষা ডেবরা ব্লকের ভবানীপুর, ভরতপুর, মলিঘাটি ও গোলগ্রাম পঞ্চায়েত বন্যাপ্রবণ এলাকা। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সেচ দফতরের নদীবাঁধের অবস্থা ছিল করুণ। গত বছর মে মাসে ডিভিসি থেকে জল ছাড়ায় ভেঙে যায় বাঁধের প্রায় ৬০০ মিটার এলাকা। ভরসা ছিল দু’শো বছরের পুরনো প্রায় তিন কিলোমিটার বিস্তৃত জমিদারি বাঁধ। সেই বাঁধ দেখভালের দায়িত্ব পঞ্চায়েত সমিতির। তবে তা-ও ধুঁকছে। গত সেপ্টেম্বরে কংসাবতীর জল উপচে জমিদারি বাঁধের ভবানীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাঙাবাঁধের একটি ও গোপীনাথপুরের দু’টি জায়গায় প্রায় ১৫০ মিটার অংশে ফাটল ধরে।
গ্রীষ্মে নদী শুকনো থাকায় বিষয়টি নিয়ে আর মাথা ঘামায়নি সেচ দফতর। কিন্তু বৃষ্টি শুরু হতেই টনক নড়েছে তাদের। বৃহস্পতিবার কংসাবতীর নদীবাঁধ পরিদর্শনে ভবানীপুর পঞ্চায়েতে গিয়েছিলেন সেচ দফতর ও পঞ্চায়েত সমিতির প্রতিনিধিরা। ছিলেন জেলা সেচ কর্মাধ্যক্ষ নির্মল ঘোষ, সেচ দফতরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত মজুমদার, বিডিও জয়ন্ত দাস, পঞ্চায়েত সমিতি সভাপতি মুনমুন সেন। সিদ্ধান্ত হয়, আপাতত সংস্কার হবে জমিদারি বাঁধ। বিডিও জয়ন্ত দাস জানান, এ জন্য পঞ্চায়েত সমিতির মাধ্যমে ৩০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। সেচ দফতরের কারিগরি সহায়তায় ভেঙে যাওয়া নদীবাঁধের ৬০০ মিটার অংশ মেরামতের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেচ কর্মাধ্যক্ষ নির্মলবাবু বলেন, “আপাতত জমিনদারি বাঁধ পঞ্চায়েত সমিতি সংস্কার করবে। এ ছাড়াও নদী বাঁধের মেরামতির জন্যও আমরা একটি প্রায় দেড় কোটি টাকার পরিকল্পনা করেছি।”