জমি বিবাদে কেশপুরে গুলি, মৃত এক

গুলিবিদ্ধ হয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় মঙ্গলবার উত্তেজনা ছড়ায় কেশপুরের মাজুরিয়ায়। নিহতের নাম গোলাম মোস্তাফা (৪৫)। তিনি এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, কিছু দিন ধরেই এলাকায় একটি জমি নিয়ে দু’পক্ষের বিবাদ চলছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০১৪ ০১:১১
Share:

গুলিবিদ্ধ হয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় মঙ্গলবার উত্তেজনা ছড়ায় কেশপুরের মাজুরিয়ায়। নিহতের নাম গোলাম মোস্তাফা (৪৫)। তিনি এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, কিছু দিন ধরেই এলাকায় একটি জমি নিয়ে দু’পক্ষের বিবাদ চলছিল। মঙ্গলবার দুপুরেও আশান্তি হয়। তার জেরে বিকেলে দু’পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। তখনই গুলি চলে। গুলিবিদ্ধ হন গোলাম। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। সন্ধ্যায় পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে।

Advertisement

এই ঘটনায় মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়নি। পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ বলেন, “কেশপুরের মাজুরিয়ায় গুলিবিদ্ধ হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। দিন তিনেক ধরে ওই এলাকায় জমি নিয়ে একটা বিবাদ চলছিল। তদন্তে সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

গুলিবিদ্ধ হয়ে গোলামের মৃত্যুর ঘটনায় রাজনীতির রংও লেগেছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, জমি বিবাদে জড়িয়ে পড়া দু’পক্ষ তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর লোক। তৃণমূলের অবশ্য দাবি, ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। দলের কেশপুর ব্লক সভাপতি সঞ্জয় পান বলেন, “এটা স্থানীয় গোলমাল। জমি নিয়ে সমস্যার জেরেই ওই এলাকায় গোলমাল বাধে।” তৃণমূলের জেলা সভাপতি দীনেন রায়েরও দাবি, “ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির যোগ নেই। স্থানীয় বিবাদ থেকেই ঘটনাটি ঘটেছে।”

Advertisement

ঘটনাস্থল মাজুরিয়া দক্ষিণপাড়ায় এক সময় সিপিএমের একাধিপত্য ছিল। এখন অবশ্য এলাকা সিপিএম-শূন্য। দলের নেতা-কর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে ঘরছাড়া। ওই এলাকায় যে এখন আর সিপিএমের প্রভাব নেই, তা মানছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি দীনেনবাবুও। আর জেলা পুলিশ সুপারের বক্তব্য, “কে বা কারা গুলি চালিয়েছে, তদন্তে তা দেখা হচ্ছে।” এ দিন রাতে স্থানীয় কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। অনভিপ্রেত ঘটনা এড়াতে এলাকায় বাড়তি পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন