তরুণীকে খুনের চেষ্টা, ধৃত ২

দাবিমতো পণ না পাওয়ায় এক তরুণীকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। তরুণীর স্বামী ও শ্বশুরকে সোমবার রাতে ডেবরার চকলালপুর গ্রাম থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবারই স্বামী সঞ্জয় কর, শ্বশুর রঞ্জিত কর ও শাশুড়ি সন্ধ্যা করের বিরুদ্ধে সোমা কর নামে ওই তরুণী ডেবরা থানায় খুনের চেষ্টা ও নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০১৪ ০০:২৮
Share:

দাবিমতো পণ না পাওয়ায় এক তরুণীকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। তরুণীর স্বামী ও শ্বশুরকে সোমবার রাতে ডেবরার চকলালপুর গ্রাম থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবারই স্বামী সঞ্জয় কর, শ্বশুর রঞ্জিত কর ও শাশুড়ি সন্ধ্যা করের বিরুদ্ধে সোমা কর নামে ওই তরুণী ডেবরা থানায় খুনের চেষ্টা ও নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ, রবিবার রাতে তাঁকে খুনের চেষ্টা করা হয়। তরুণীর মা লক্ষ্মী রায় খবর পেয়ে এলে তাঁকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। মা-মেয়ে দু’জনেই ডেবরা গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়েছেন। পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত শাশুড়ি পলাতক।

Advertisement

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৯ সালে ডেবরার বছর পঁচিশের কাঠের মিস্ত্রি সঞ্জয়ের সঙ্গে বিয়ে হয় হলদিয়ার কুকড়াহাটির বছর উনিশের সোমার। বিয়ের সময় শ্বশুরবাড়ির দাবিমতো পণ দিয়েছিলেন সোমার বাবা। অভিযোগ, বিয়ের পরে অতিরিক্ত টাকা দাবি করে সোমার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। টাকা দিতে না পারায় শুরু হয় মানসিক নির্যাতন। বছর তিনেক আগে মেয়ে জন্মানোর পরে সোমার উপরে অত্যাচারের মাত্রা বাড়ে। ওই তরুণীর আরও অভিযোগ, হাওড়ার সাঁকরাইলের এক মহিলার সঙ্গে স্বামীর সম্পর্ক রয়েছে বলে তিনি চলতি বছরে জানতে পারেন। তার প্রতিবাদ করায় স্বামী মারধর করেন। এতে শাশুড়ির মদত রয়েছে বলেও সোমার অভিযোগ।

সোমা অভিযোগে জানিয়েছেন, গত অগস্টে ১ লক্ষ টাকার দাবি করেন সঞ্জয়। তিনি বাপের বাড়িতে সে কথা বলতে পারবেন না জানানোয় ১৯ অগস্ট ঘুমের মধ্যে বালিশ চাপা দিয়ে তাঁকে মেরে ফেলার চেষ্টা হয়। প্রতিবেশীদের হস্তক্ষেপে সে যাত্রা প্রাণে বাঁচেন সোমা। আলোচনায় তখনকার মতো সমস্যা মিটেও যায়। গত রবিবার ফের ১ লক্ষ টাকা দাবি করে সঞ্জয় সোমাকে মারধর শুরু করেন এবং শ্বশুর, শাশুড়ি ও স্বামী মিলে তাঁর গলায় গামছার ফাঁস দিয়ে খুনের চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। সোমার কথায়, “আমাকে খুনের চেষ্টা করার কথা শুনে বাপের বাড়ি থেকে অনেকে আসেন। ওরা সকলের সামনেই আমার মাকে মারধর করে।” পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

Advertisement

প্রতারক ধৃত। এক প্রতারককে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন মেদিনীপুর সদরের বিডিও। ধৃতের নাম তন্ময় গঙ্গোপাধ্যায়। সে পুলিশকে জানিয়েছে, তার বাড়ি বেহালায়। এখন খড়্গপুরের আত্মীয়বাড়িতে থাকে। গত দু’-তিন মাস ধরে মেদিনীপুর সদরের বিডিও ঋত্বিক হাজরার কাছে অভিযোগ আসছিল এক যুবক বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে ইন্দিরা আবাস-সহ নানা সরকারি প্রকল্পের সুবিধে পাইয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা আদায় করছে। নিজেকে সরকারি কর্মী বলে পরিচয় দিচ্ছে সে। মঙ্গলবার তন্ময় উদয়পল্লিতে গেলে স্থানীয়রা তাকে ধরে বিডিও-র কাছে নিয়ে যায়। এরপর বিডিও পুলিশে খবর দেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন