দুই তৃণমূল সমর্থককে মারধরের নালিশ

দুই তৃণমূল কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠল দলেরই অপর গোষ্ঠীর লোকেদের বিরুদ্ধে। বুধবার বিকেলে কারখানায় কাজে যোগ দিতে যাওয়া এক শ্রমিককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে একদল তৃণমূল সমর্থকের বিরুদ্ধে। ভৈরব দাস নামে আহত ওই শ্রমিককে তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০০:৩৬
Share:

দুই তৃণমূল কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠল দলেরই অপর গোষ্ঠীর লোকেদের বিরুদ্ধে। বুধবার বিকেলে কারখানায় কাজে যোগ দিতে যাওয়া এক শ্রমিককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে একদল তৃণমূল সমর্থকের বিরুদ্ধে। ভৈরব দাস নামে আহত ওই শ্রমিককে তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ দিন পাঁশকুড়ার মেচগ্রামের কাছে একটি কারখানার ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফের তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে এসেছে। আহত ভৈরব দাস পাঁশকুড়ার তৃণমূল নেতা আনিসুর রহমানের অনুগামী বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

অন্য দিকে, আনিসুর গোষ্ঠীর লোকেদের অভিযোগ, ওই মারধরের ঘটনায় জড়িতরা পুরপ্রধান জাকিউর রহমান খানের ঘনিষ্ঠ। এ দিনই সন্ধ্যায় পাঁশকুড়া থানায় আনিসুর অনুগামী মুজিবর রহমান নামে আর এক তৃণমূল সমর্থককেও মারধরের অভিযোগ হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঁশকুড়ার মেচগ্রামের কাছে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে ভৈরব দাস এপিএল কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করে। তিনি পাঁশকুড়া পুরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। বুধবার বিকেলে ভৈরববাবু কাজে যোগ দিতে যাওয়ার পথে ওই কারখানার কাছে কয়েকটি গাড়িতে চেপে আসা একদল লোক তাঁকে জোর করে গাড়িতে তুলে নেয় বলে অভিযোগ। এরপর ওই গাড়ির ভিতরেই ভৈরববাবুকে ব্যাপক মারধর করে কিছুটা দূরে তাঁরা ফেলে দিয়ে চলে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে ওই কারখানার অন্য শ্রমিকরা ছুটে আসে। তাঁরাই ভৈরববাবুকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিত্‌সার জন্য প্রথমে ব্লক স্বাস্থ্যেকেন্দ্রে ভর্তি করে। পরে তাঁকে তমলুক জেলা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এ দিনই সন্ধ্যায় মেচগ্রামের দলীয় বৈঠক সেরে ফেরার পথে মুজিবর রহমান নামে এক তৃণমূল কর্মীকে দলেরই বিরোধী গোষ্ঠীর লোকেরা মারধর করে বলে অভিযোগ। আনিসুর রহমান ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা শেখ সমীরুদ্দিনের অভিযোগ, “বহিরাগত লোকজন নিয়ে এসে ওঁরা আমাদের দলের দুই কর্মীর উপর আক্রমণ চালিয়েছে। এই ঘটনায় পুরপ্রধান জাকিউর রহমান খান জড়িত রয়েছে।” যদিও অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে পুরপ্রধান জাকিউর রহমান খান বলেন, “বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ওই ঘটনার বিষয়ে আমি জানতাম না। অথচ আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। পুরসভার চেয়ারম্যান পদ থেকে আমাকে সরানোর চেষ্টা করেও তা সফল না হওয়ায় এইসব ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement