দেবের পরদিনই ডেবরায় মানস ভুঁইয়ার রোড শো

দেবের পরদিনই ডেবরায় রোড শো করলেন ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী মানস ভুঁইয়া। বৃহস্পতিবার ডেবরা ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় হুড খোলা গাড়িতে ঘুরে বেড়ান মানসবাবু। তবে বুধবার টলিউডের ‘খোকাবাবু’ যে পথে ঘুরেছিলেন, এ দিন সে দিকে যাননি কংগ্রেস প্রার্থী। অন্য গ্রামের পথ বাছেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০১৪ ০২:১৩
Share:

ডেবরায় কংগ্রেস প্রার্থী মানস ভুঁইয়ার রোড-শো। —নিজস্ব চিত্র।

দেবের পরদিনই ডেবরায় রোড শো করলেন ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী মানস ভুঁইয়া। বৃহস্পতিবার ডেবরা ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় হুড খোলা গাড়িতে ঘুরে বেড়ান মানসবাবু। তবে বুধবার টলিউডের ‘খোকাবাবু’ যে পথে ঘুরেছিলেন, এ দিন সে দিকে যাননি কংগ্রেস প্রার্থী। অন্য গ্রামের পথ বাছেন তিনি।

Advertisement

এ দিন সকাল থেকেই প্রচার শুরু করেন মানসবাবু। প্রথম যান অর্জুনী এলাকায়। প্রার্থী ছাড়াও ছিলেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি বিকাশ ভুঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক অশোক হাজরা প্রমুখ। এরপর খানামোহন, পাঁচগেড়িয়া হয়ে মারোতলায় পৌঁছয় গাড়ি। চড়া রোদে দীর্ঘ পথ পেরনোর পরে কিছুটা বিশ্রাম নেন মানসবাবু। বিকেলে পাটনা, মালিহাটি, গোলগ্রাম, লোয়াদা, আষাঢ়ি হয়ে রোড-শো শেষ হয়। এ দিনও প্রচার দেখতে বাড়ির ছাদে লোকে ভিড় করেছিল। পথ চলতি ট্রেকার থেকেও লোকজন উঁকি মেরেছে। আর রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা সংবর্ধনা দিয়েছেন মানসবাবুকে। প্রার্থীও কখনও জোড়হাতে, কখনও হাত নেড়ে জনসংযোগ সেরেছেন। কংগ্রেসের ‘হাত’ শক্ত করার আহ্বানও জানিয়েছেন। লোয়াদা সেতুর সংযোগকারী রাস্তা, টাবাগেড়িয়া সেতু সংস্কারেরও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

তবে বিকেলের প্রচারে অপ্রীতিকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয় মানসবাবুকে। পাটনা ছাড়িয়ে মালিগ্রামের দিকে যেতে ভগবানপুরে গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের কাছে রোড-শোর পিছনে থাকা কংগ্রেস কর্মীদের দু’টি গাড়ি আটকায় স্থানীয় কয়েকজন। বিকাশবাবুর অভিযোগ, “মানুষ ভুঁইয়া প্রচারে মানুষের ঢল দেখে ভয় পেয়ে গিয়েছে তৃণমূল। তাই তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস থেকে তৃণমূল কর্মীরা নেমে পথ আটকায়।” পরে অবশ্য মানসবাবুর সঙ্গে থাকা পুলিশের গাড়ি গেলে ওই দু’টি গাড়ি ছেড়ে দেওয়া হয়। ব্লক তৃণমূল সভাপতি রতন দে-র দাবি, “ওই এলাকার মানুষ মানসবাবুকে কোনওদিন দেখেনি। তাই মানুষের চাহিদা তিনি পূরণ করতে পারবেন কি না, সেই জবাব তারা চেয়েছে। এর সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই।”

Advertisement

এ দিন বিভিন্ন এলাকায় পথসভাও করেছেন মানসবাবু। সেখানে তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী উত্তেজিত হয়ে যে ভাষায় আমাকে আক্রমণ করছেন, তাতে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ নষ্ট হচ্ছে। আমি মঙ্গলকোটের ঘটনা তদানীন্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে জানিয়েছিলাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো এখন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি দেখুন, সিপিএম কীভাবে আমাকে মেরে ফেলার চক্রান্ত কষেছিল। কিন্তু ওঁর ব্যঙ্গবিদ্রুপে মনে হচ্ছে সে দিন আমার মৃতদেহ মঙ্গলকোটে পড়ে থাকলে তিনি শান্তি পেতেন।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন