প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের জন্য মিড-ডে মিল বাধ্যতামূলক করেছে সরকার। কিন্তু রেলশহর খড়্গপুরের বেশ কয়েকটি স্কুল এখনও তা চালু হয়নি। ওই সব স্কুলের কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করে অবিলম্বে মিড-ডে মিল চালুর নির্দেশ দিল পুরসভা। বৃহস্পতিবার শহরের পুরীগেট সংলগ্ন ছত্তীসগঢ় হাইস্কুলে মিড-ডে মিল প্রকল্পের উদ্বোধন করেন উপ-পুরপ্রধান চিত্তরঞ্জন মণ্ডল। পাশাপাশি কয়েকটি স্কুলও পরিদর্শন করেন তিনি। যে সব স্কুলে এখনও মিড-ডে মিল চালু হয়নি, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন উপ-পুরপ্রধান।
বহুবার বৈঠক ডেকে খড়্গপুর মহকুমা প্রশাসন মিড-ডে মিল চালুর নির্দেশ দিলেও শহরের বেশ কিছু স্কুলে এ নিয়ে অনীহা রয়েছে। গত বছর ৬ সেপ্টেম্বর তদানীন্তন মহকুমাশাসক আর বিমলা মিড-ডে মিল চালু না হওয়া শহরের ১৯টি স্কুলকে কারন দর্শানোর জন্য বৈঠক ডেকেছিলেন। সেখানে উঠে আসে নানা সমস্যার কথা। কোথাও রেলের স্কুলগুলির রাজ্যের সঙ্গে অর্থ লেনদেনের অনীহায় মিড-ডে মিল চালুতে উদ্যোগের অভাব তো কোথাও রেলের জমিতে রাজ্য সরকার অনুমোদিত স্কুলে পরিসরের অভাবের অভিযোগের কথা জানা যায়। এ ছাড়া মিড-ডে মিলের ঘর, জলের সমস্যা তো ছিলই। তবে ওই বৈঠকের পরেই মহকুমাশাসকের হস্তক্ষেপে প্রায় ১০টি স্কুল মিড-ডে মিল চালু হয়। পরে বর্তমান মহকুমাশাসক সঞ্জয় ভট্টাচার্যের হস্তক্ষেপে আরও কয়েকটি স্কুল মিড-ডে মিল চালু করে।
এ দিন ছত্তীসগঢ় হাইস্কুলে মিড ডে মিল চালু হয়। এখনও মিড ডে মিল চালু হয়নি সাউথসাইড বালক হাইস্কুল, সাউথ সাইড বালিকা হাইস্কুল, সাউথ সাইড প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ছত্তীসগঢ় প্রাথমিক-সহ বেশ কয়েকটি স্কুলে। এ দিন ছত্তীসগঢ় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে অবিলম্বে মিড-ডে মিল চালুর নির্দেশ দেন উপ-পুরপ্রধান চিত্তরঞ্জনবাবু। তিনি বলেন, “স্কুলগুলি নানা অজুহাত দেখিয়ে মিড-ডে মিল চালু করছে না। পুরসভা যেহেতু এই মিড ডে মিল প্রকল্পের নিয়ন্ত্রণ করে, তাই আমাদের উপর চাপ বাড়ছে।” উপ-পুরপ্রধান জানান, স্কুল পরিদর্শক আগেই প্রাথমিক স্কুলগুলির ক্ষেত্রে বেতন আটকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এর পর মিড ডে মিল চালু না হলেও পুরসভা কড়া পদক্ষেপ করবে। সাউথ সাইড প্রাথমিকে ১৪ সেপ্টেম্বর মিড-ডে মিল চালু হবে বলে উপ-পুরপ্রধান জানিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে মহকুমাশাসক সঞ্জয় ভট্টাচার্যের বক্তব্য, “শহরের প্রতিটি স্কুলকে পুজোর আগেই মিড-ডে মিল চালু করতে বলা হয়েছে। না করলে পদক্ষেপ করব।”