দুর্নীতির বিহিত হয়নি, ঘেরাও বিডিও

একশো দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগ করা সত্ত্বেও ব্যবস্থা নেননি বিডিও-এই অভিযোগে সোমবার বিকেলে দেশপ্রাণ ব্লকের বিডিও সত্যজিৎ মুখোপাধ্যায়কে ঘেরাও করলেন বামুনিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা। এ দিন বিকেল ৩টে থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন পঞ্চায়েতের প্রাক্তন তৃণমূল উপ-প্রধান তথা বর্তমান বিরোধী নেতা কল্লোল পাল ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য অজিত গিরি। প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর কাঁথির মহকুমাশাসক সরিৎ ভট্টাচার্যের আশ্বাসে অবস্থান উঠে যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাঁথি শেষ আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০০:৪০
Share:

চলছে বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র।

একশো দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগ করা সত্ত্বেও ব্যবস্থা নেননি বিডিও-এই অভিযোগে সোমবার বিকেলে দেশপ্রাণ ব্লকের বিডিও সত্যজিৎ মুখোপাধ্যায়কে ঘেরাও করলেন বামুনিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা। এ দিন বিকেল ৩টে থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন পঞ্চায়েতের প্রাক্তন তৃণমূল উপ-প্রধান তথা বর্তমান বিরোধী নেতা কল্লোল পাল ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য অজিত গিরি। প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর কাঁথির মহকুমাশাসক সরিৎ ভট্টাচার্যের আশ্বাসে অবস্থান উঠে যায়।

Advertisement

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, বাম পরিচালিত বামুনিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শিশির জানা পঞ্চায়েতের ১১টি সংসদে সামাজিক বনসৃজন প্রকল্পের কাজ না করেই কাজ হয়েছে বলে বরাদ্দ ১ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা তুলে নেন। ঘটনার কথা জানতে পেরে গ্রামবাসীরা প্রতিবাদও করেন। গ্রামবাসীদের কয়েকজনকে প্রধান বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে দিতে বলেন বলেও বিক্ষোভকারীদের একাংশের দাবি। পঞ্চায়েতের বিরোধী নেতা তৃণমূলের কল্লোল পাল বলেন, “গত ১৮ ফেব্রুয়ারি তরুণ জানা ও বিডিও আমাদের নিয়ে বৈঠক করেন। বৈঠকে ব্লকের একশো দিনের কাজ প্রকল্পের সহ প্রকল্প আধিকারিক নিমাইচন্দ্র নস্কর ও কারিগরী সহায়ক তাপস পতিকে বিষয়টির তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়।”

কল্লোলবাবুর দাবি, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি তাঁরা ঘটনাটির তদন্ত করে বিডিও-র কাছে একটি রিপোর্টও জমা দেন। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ওই পঞ্চায়েত এলাকায় বনসৃজন প্রকল্পের কোনও কাজ চোখে পড়েনি। এই প্রকল্পে লাগানো গাছের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বাঁশের বেড়া-সহ নাইলন নেটের জাল ও ডিসপ্লে বোর্ডও দেখতে পাওয়া যায়নি বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। অথচ ওই পঞ্চায়েতের প্রধান শিশির জানা, এক্সিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট ও নির্মাণ সহায়ক তিন জনেই বনসৃজন প্রকল্পের সামগ্রী কেনা হয়েছে বলে ভাউচারে সই করে ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলেছেন।

Advertisement

বামুনিয়া পঞ্চায়েতের তৃণমূল পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য অজিত গিরি অভিযোগ করেন, “পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে প্রকল্পের টাকা নয়ছয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতের দুই সরকারি কর্মীও যুক্ত। দুর্নীতির রিপোর্ট পেয়েও বিডিও কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করতে উদ্যোগী হননি।” তাঁর দাবি, বিডিও তিন জনকে বিষয়টি আপোষ করে মিটিয়ে নিতে বলছেন। এর প্রতিবাদেই বৃহস্পতিবার গ্রামবাসী বিডিওকে ঘেরাও করেন।

তরুণবাবুর কথায়, “দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রমাণ পেয়েও বিডিও কেন আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছেন না, তা আশ্চর্যের।” মহকুমাশাসকের ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসে এ দিন অবস্থান উঠে যায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন