এক কিশোরের পচগলা মৃতদেহ উদ্ধার হল রূপনারায়ণের ধারে। নন্দকুমার থানার মীরপুর গ্রামের বাসিন্দা স্বপন খাটুয়া নামে বছর পনেরোর কিশোর গত পাঁচ দিন ধরে নিখোঁজ ছিল। সোমবার মহিষাদলের দ্বীপগ্রাম মায়াচরের কাছে তার দেহ উদ্ধার হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই কিশোরকে খুনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে তাঁর গ্রামেরই কয়েকজনের বিরুদ্ধে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বিপ্লব সামন্ত নামে এক কিশোরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বুধবার বিকেলে স্বপন ও তাঁর পরিচিত তিনজন কিশোর একটি নৌকা ভাড়া করে বনভোজনে যাওয়ার কথা বলে বেরিয়েছিল। পরদিন অন্যরা ফিরে এলেও স্বপন ফেরেনি। পরিবারের লোকজন বন্ধুদের কাছে খোঁজ নিতে গেলে তারা জানায় স্বপন এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছে। এরপর রবিবার রাতেই মহিষাদলের মায়াচরে একটি মৃতদেহ দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা।
খবর পেয়ে স্বপনের পরিবারের লোকজন সেখানে গিয়ে মৃতদেহ শনাক্ত করে। ঘটনার জেরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। স্বপনের বাবা চন্দ্র খাটুয়া ছেলেকে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন গ্রামেরই কয়েকজনের বিরুদ্ধে। তাঁর দাবি, মায়াচরে বনভোজনে যাওয়ার নাম করে কয়েকজন মিলে ওকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল। সেখানেই ওরা স্বপনকে খুন করেছে। তরুণ বাগই ওকে পরিকল্পিতভাবে খুন করেছে।’’
স্থানীয় বাসিন্দাদেরও অভিযোগ, মীরপুর গ্রামের মাঠের জমিতে মাছ ধরার জন্য একজন মৎস্যজীবী লিজ দেওয়া হয়েছিল স্থানীয় গ্রামবাসীদের তরফে। জমিতে নজরদারির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল কয়েকজনকে। স্বপনও সেই দায়িত্বে ছিল। কিছুদিন আগে গ্রামেরই বাসিন্দা তরুণ বাগ জমিতে ঝাঁপি রেখে মাছ ধরে ফেরার সময় স্বপন তাঁকে হাতে নাতে ধরে ফেলে। এ নিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে ওই ব্যক্তির গোলামাল হয়েছিল বলে অভিযোগ। এর প্রতিশোধ নিতেই ওই ব্যক্তি স্বপনের উপর আক্রমণ বলে মনে করছেন বাসিন্দারা। রবিবার রাতেই স্থানীয় বাসিন্দারা তরুণ বাগের বাড়িতে চড়াও হয়ে তাঁকে মারধর করে।
নন্দকুমারের ওসি অজয় মিশ্র বলেন, ‘‘প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে ওই কিশোরকে জলে ফেলে দিয়ে খুন করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।’’