নিজেকেই ভোট দেওয়া হবে না, আক্ষেপ বহু প্রার্থীর

দু’মাস ধরে যাঁরা নিজেদের জন্য ভোট চেয়ে দোরে দোরে ঘুরে বেড়ালেন, তাঁদের অনেকেই কিন্তু নিজেকে ভোট দিতে পারবেন না! ফলে, পশ্চিম মেদিনীপুরের অনেক প্রার্থীই হতাশ। এই তালিকায় দেব, সন্ধ্যা রায়ের মতো তারকারা যেমন আছেন, তেমনই রয়েছেন সন্তোষ রাণা, বিমল রাজ, বিকাশ মুদির মতো প্রার্থীরাও। পশ্চিম মেদিনীপুরে তিনটি লোকসভা আসন ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর এবং ঘাটাল। তিনটি আসনে প্রার্থীর সংখ্যা মোট ৩৩ জন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ০৬ মে ২০১৪ ০১:১৬
Share:

দু’মাস ধরে যাঁরা নিজেদের জন্য ভোট চেয়ে দোরে দোরে ঘুরে বেড়ালেন, তাঁদের অনেকেই কিন্তু নিজেকে ভোট দিতে পারবেন না! ফলে, পশ্চিম মেদিনীপুরের অনেক প্রার্থীই হতাশ। এই তালিকায় দেব, সন্ধ্যা রায়ের মতো তারকারা যেমন আছেন, তেমনই রয়েছেন সন্তোষ রাণা, বিমল রাজ, বিকাশ মুদির মতো প্রার্থীরাও।

Advertisement

পশ্চিম মেদিনীপুরে তিনটি লোকসভা আসন ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর এবং ঘাটাল। তিনটি আসনে প্রার্থীর সংখ্যা মোট ৩৩ জন। ঝাড়গ্রামে ১৩, মেদিনীপুরে ১০ এবং ঘাটালে ১০ জন। জেলায় এ বার দু’দফায় ভোট। আগামী ৭ মে ঝাড়গ্রাম এবং মেদিনীপুরে আর ১২ মে ঘাটালে।

দেব কলকাতার বাসিন্দা। ফলে, তিনি নিজেকেই ভোট দিতে পারবেন না। তৃণমূলের আর এক তারকা প্রার্থী সন্ধ্যা রায়ও কলকাতার বাসিন্দা। তিনিও নিজেকে ভোট দিতে পারবেন না। তৃণমূল সূত্রে খবর, প্রচারের ফাঁকে এ নিয়ে নিজেদের আক্ষেপ গোপন করেননি এই দুই অভিনেতা-অভিনেত্রী। ঘনিষ্ঠ মহলে তাঁরা বলেছেন, ‘নিজেকে ভোট দিতে পারলে ভাল লাগত। কিন্তু উপায় নেই!” তৃণমূলের এক জেলা নেতা বলেন, “এই আক্ষেপটা স্বাভাবিক। লোকসভার মতো ভোটে প্রার্থী হওয়াটাই বড় ব্যাপার! ক’জন আর প্রার্থী হন? নিজে যেখানে প্রার্থী, সেখানে নিজের ভোট নিজেকে দেওয়ার আনন্দই আলাদা। এমন সুযোগ তো বারবার আসে না!” মেদিনীপুরের বিজেপি প্রার্থী প্রভাকর তিওয়ারি, ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী মহম্মদ আলমও কলকাতার বাসিন্দা। অন্যদিকে, ঘাটালের বাম প্রার্থী তথা সিপিআইয়ের জেলা সম্পাদক সন্তোষ রাণার দেশের বাড়ি সবংয়ের দশগ্রাম। এই এলাকা ঘাটাল লোকসভার অন্তর্গত। তবে, সন্তোষবাবু এখন মেদিনীপুরে থাকেন। তিনি মেদিনীপুরেরই ভোটার। সোমবার তিনি বলছিলেন, “নিজেকে ভোট দিতে পারলে তো ভালই লাগত। কিন্তু, উপায় নেই। অনেক কিছুই তো পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে। কী আর করা যাবে!”

Advertisement

ঝাড়গ্রামের বিজেপি প্রার্থী বিকাশবাবু বর্ধমানের বাসিন্দা। গেল ৩০ এপ্রিল ওই এলাকায় ভোট হয়েছে। প্রচারের ফাঁকে সময় বের করে ভোট দিতে দেশের বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি। সোমবার বিকাশবাবু বলেন, “ভোট দেওয়ার আনন্দই আলাদা। এটা তো আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার।” নিজেকে ভোট দিতে পারলে ভাল লাগত? ঝাড়গ্রামের বিজেপি প্রার্থী বলছেন, “অবশ্যই। নিজেকে যদি ভোট দিতে পারতাম, তাহলে আরও ভাল লাগত।”

মেদিনীপুরের বাম প্রার্থী প্রবোধ পণ্ডা অবশ্য নিজেকে ভোট দিতে পারবেন। তিনি মেদিনীপুরের ভোটার। ঘাটালের কংগ্রেস প্রার্থী মানস ভুঁইয়াও সবংয়ের ভোটার হওয়ায় নিজেকে ভোট দিতে পারবেন। ঝাড়গ্রামের বাম প্রার্থী পুলিনবিহারী বাস্কে অবশ্য নিজেকে ভোট দিতে পারবেন না। তাঁর দেশের বাড়ি দাঁতনে। এখন মেদিনীপুরে থাকেন। তিনি দাঁতনেরই ভোটার। মেদিনীপুরের কংগ্রেস প্রার্থী বিমল রাজও নিজেকে ভোট দিতে পারবেন না। এখন খড়্গপুর শহরে থাকেন। তবে, দেশের বাড়ি খড়্গপুর গ্রামীণ এলাকার বাড়গোকুলপুরে। যে এলাকা আবার ঘাটাল লোকসভার অন্তর্গত। সোমবার বিমলবাবু বলছিলেন, “নিজেকে ভোট দিতে পারব না ঠিকই তবে দাদাকে দেবো। মানসদা (মানস ভুঁইয়া) আমার দাদার মতো!”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন