নির্বাচনী প্রচারে তাঁর ছবি নয়, বার্তা শুভেন্দুর

ভোট প্রচারে তাঁর নিজের ছবি ব্যবহার করতে দলীয় কর্মীদের নিষেধ করলেন তমলুকের বিদায়ী সাংসদ তথা ওই কেন্দ্র থেকেই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। পরিবর্তে শুধু তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। শনিবার নির্বাচনী প্রচার শুরুর দিন তমলুকের ডিমারি বাজারে রাজনৈতিক কর্মশালা করেন শুভেন্দুবাবু।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তমলুক শেষ আপডেট: ০৯ মার্চ ২০১৪ ০১:৫০
Share:

তমলুকের সভায় জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র এবং তৃণমূলের প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার। —নিজস্ব চিত্র।

ভোট প্রচারে তাঁর নিজের ছবি ব্যবহার করতে দলীয় কর্মীদের নিষেধ করলেন তমলুকের বিদায়ী সাংসদ তথা ওই কেন্দ্র থেকেই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। পরিবর্তে শুধু তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

Advertisement

শনিবার নির্বাচনী প্রচার শুরুর দিন তমলুকের ডিমারি বাজারে রাজনৈতিক কর্মশালা করেন শুভেন্দুবাবু। সেখানেই কর্মীদের কড়া বার্তা দিয়ে যুব তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি বলেন, “২০০৪ সালের যখন প্রথম লোকসভা নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলাম, তখন আমার পরিচয় করানোর জন্য ছবি টাঙানোর প্রয়োজন ছিল। ২০০৯ সালের ভোটেও কিছুটা দরকার ছিল। কিন্তু এখন আমি আপনাদের ঘরের লোক। তাই এবার নির্বাচনী প্রচারে আমার ছবি টাঙানোর দরকার নেই। শুধু নামটা লিখবেন আর দলের প্রতীক আঁকবেন।” পরক্ষণেই শুভেন্দুবাবুর সংযোজন, “অবশ্যই তাঁর (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের) ছবি দেবেন, যিনি সারা ভারতবর্ষে দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তাঁর ছবি যত খুশি টাঙান।”

মাস খানেক আগে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতে তৃণমূল ‘যুবা’র একটি অনুষ্ঠানের প্রচারে সংগঠনের রাজ্য সভাপতি তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের একাধিক ছবি ব্যবহার ঘিরে বিতর্ক বেধেছিল। শেষমেশ ওই অনুষ্ঠানে যাননি অভিষেক। উল্টে সংগঠনের অত্যুৎসাহী কর্মীদের জানিয়ে দিয়েছিলেন, নিষেধ সত্ত্বেও ফ্লেক্স ও পোস্টারে তাঁর ছবি ব্যবহার করা অনুচিত হয়েছে। ছবি ব্যবহার করতে হবে শুধু তৃণমূল নেত্রীর।

Advertisement

এ দিন তমলুকের শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের ডিমারি হাইস্কুল ময়দানে দলীয় কর্মশালায় নির্বাচনী প্রচার নিয়ে একগুচ্ছ পরামর্শ দেন শুভেন্দুবাবু। দলীয় কর্মীদের বিনয়ী হতে বলেন তিনি। নির্বাচনী প্রচারে অতিরিক্ত আড়ম্বর দেখাতেও নিষেধ করেন। তাঁর বার্তা, “ডাল-ভাত-তরকারি খেয়ে কর্মী-সম্মেলন করুন।” প্রসঙ্গক্রমে নিজের কথা বলেন শুভেন্দুবাবু।

তাঁর দাবি, সাংসদ হওয়ার পরে গত পাঁচ বছরে তাঁর নিজের পোশাক, মানুষের সঙ্গে ব্যবহারে কোনও পরিবর্তন হয়নি। শুধু জঙ্গলমহলে যাতায়াতের জন্য কিছুটা বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা হয়েছে।

এ বার আর তাঁর বিরুদ্ধে সিপিএমের প্রার্থী লক্ষ্মণ শেঠ নন। তবুও লক্ষ্মণবাবুকেই এ দিন বিঁধেছেন তিনি। আর তাঁর বিরুদ্ধে এ বারের প্রার্থী এসএফআই নেতা শেখ ইব্রাহিমকে অল্পবিস্তর খোঁচা মারলেও বিরোধী প্রার্থীদের নিয়ে যাতে কুৎসা না হয়, সে বিষয়ে কর্মীদের সতর্ক করে দিয়েছেন শুভেন্দুবাবু। শুভেন্দুবাবুর কর্মিসভায় এ দিন বক্তব্য রাখেন রাজ্যের জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র-সহ পূর্ব মেদিনীপুরের তৃণমূল নেতৃত্ব।

এ দিনই চণ্ডীপুরে কর্মিসভা করে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শিশির অধিকারীও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন