নদী-তীরে জমল চড়ুইভাতি

দিঘা, শঙ্করপুর, তাজপুর, মন্দারমণির সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের ঢল নেমেছে একদিন আগেই। বড়দিন উপলক্ষে চড়ুইভাতিতে জমে উঠল পূর্ব মেদিনীপুরের রূপনারায়ণ, হলদি, কাঁসাই নদীর তীরের পিকনিক স্পটগুলিও। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রূপনারায়ণ নদীর তীরবর্তী জেলার কোলাঘাট শহরের কাঠচড়া ময়দান, দেনান, সোয়াদিঘি থেকে তমলুক শহরের আবাসবাড়ি, উত্তর ও দক্ষিণ চড়া শঙ্করআড়া, গেওখালি এলাকায় জেলার বিভিন্ন এলাকার পিকনিক দলের সদস্যরা ভিড় জমান।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০১৪ ০১:২২
Share:

মন্দারমণিতে ভিড় পর্যটকের। ছবি: সোহম গুহ।

দিঘা, শঙ্করপুর, তাজপুর, মন্দারমণির সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের ঢল নেমেছে একদিন আগেই। বড়দিন উপলক্ষে চড়ুইভাতিতে জমে উঠল পূর্ব মেদিনীপুরের রূপনারায়ণ, হলদি, কাঁসাই নদীর তীরের পিকনিক স্পটগুলিও।

Advertisement

বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রূপনারায়ণ নদীর তীরবর্তী জেলার কোলাঘাট শহরের কাঠচড়া ময়দান, দেনান, সোয়াদিঘি থেকে তমলুক শহরের আবাসবাড়ি, উত্তর ও দক্ষিণ চড়া শঙ্করআড়া, গেওখালি এলাকায় জেলার বিভিন্ন এলাকার পিকনিক দলের সদস্যরা ভিড় জমান। কোলাঘাট শহরের কাছে রূপনারায়ণের পূর্ব দিকে হাওড়া জেলার নাউপালা এলাকায় নদীতীরের পিকনিক স্পটের টানে ছুটে আসেন কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দারা। এক সময় পিকনিকের পাশাপাশি রূপনারায়ণে নৌকাবিহারের আকর্ষণ ছিল তুঙ্গে। ২০১০ সালের জানুয়ারি মাসে রূপনারায়ণে নৌকাবিহারের সময় নৌকা ডুবে মৃত্যু হয় কয়েকজনের। ওই দুর্ঘটনার পরেই রূপনারায়ণে নৌকাবিহার নিষিদ্ধ করে প্রশাসন। এ বছরও কোলাঘাট-সহ জেলার বিভিন্ন নদীতীরবর্তী এলাকায় পিকনিক স্পটগুলিতে অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে ব্যাপক পুলিশি টহলদারি চলেছে। পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সুকেশ কুমার জৈন বলেন,“ কোলাঘাট,গেওখালি এলাকায় পিকনিক দলের ভিড় জমেছে। ওইসব এলাকায় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশের টহলদারির সাথে সাধারণ পোশাকের পুলিশের নজরদারি চলছে।” যিশুর জন্মদিন উপলক্ষে বড়দিনের বিশেষ প্রার্থনা হয় তমলুক শহরের আবাসবাড়ি এলাকার মেথডিস্ট চার্চে। বিশেষ প্রার্থনায় যীশুর জীবনী নিয়ে আলোচনা করেন চার্চের প্রধান রেভারেন্ড দীপঙ্কর নাথ।

পযর্টক ভিড় জমেছে দিঘা মন্দারমণি, তাজপুর ও শঙ্করপুর সৈকতেও। বৃহস্পতিবার ভোররাত থেকেই দিঘার রাস্তা জুড়ে ছিল পর্যটকদের গাড়ি। চড়ুইভাতি করতেও প্রচুর মানুষ ভিড় জমান সৈকতের ঝাঊবনেও। দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পষর্দ সূত্রে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে লক্ষাধিক পর্যটকের ভিড় হয়েছিল। গাড়ির ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে বিশেষ ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করতে হয় পুলিশকে। কাঁথির এসডিপিও ইন্দ্রজিৎ বসু নিজে দিঘায় হাজির থেকে নজরদারি চালান। এ দিন সকালেই সমুদ্রের জোয়ার শুরু হওয়ায় দুপুর পর্যন্ত পর্যকদের সমুদ্রপাড়েই ভিড় করতে দেখা যায়। জোয়ার থামার পর সমুদ্রে স্নানে নামেন পর্যটকরা।

Advertisement

বড় দিনের উৎসবে মাতলেন হলদিয়ার বাসিন্দারাও। বুধবার রাত থেকে হলদিয়া ও মহিষাদলের বিভিন্ন গির্জায় ধর্মীয় অনুষ্ঠান হয়েছে। হলদিয়ার বালুঘাটায় সানসেট ভিউ পয়েন্ট-সহ হলদি ও হুগলি নদীর ধারে বাসিন্দারা চড়ুইভাতির ভিড় জমান পর্যটকরা। হলদিয়ার দুর্গাচক থানার পুলিশ মঞ্জুশ্রী মোড়ে বড়দিন উপলক্ষে পথচারীদের কেক বিলি করা হয়। মহিষাদলের গেঁওখালি লাগোয়া পর্তুগীজদের গ্রাম মীরপুরের বাসিন্দারাও বুধবার রাত থেকে বড়দিনের আনন্দে মাতেন। বৃহস্পতিবারও ধর্মীয় অনুষ্ঠানের পাশাপাশি নানা সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন