পুজোর আগে খড়্গপুরে রাস্তা সংস্কারে বরাদ্দ ৮০ লক্ষ

পুজো আসছে। তবে এখনও বেহাল খড়্গপুর পুর এলাকার অধিকাংশ রাস্তা। উৎসবের আগে তাই রাস্তা সংস্কারে উদ্যোগী হল কংগ্রেস পরিচালিত পুরসভা। স্থানীয় শ্রমিকদের কর্মনিযুক্তি প্রকল্পে ৮০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করে এই রাস্তা সংস্কার করা হবে বলে জানিয়েছেন পুর-কর্তৃপক্ষ। তবে বরাদ্দ হলেও ওয়ার্ড ভিত্তিক টাকা বন্টন এখনও হয়নি। বৈঠক ডেকে পুরসভার ৩৫টি ওয়ার্ডে রাস্তা সংস্কারের টাকা বন্টন করা হবে বলে জানা গিয়েছে। তবে পুরসভার অন্তর্ভুক্ত হওয়া সত্ত্বেও রেলের বেশ কিছু বেহাল রাস্তার সংস্কারের ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষোভ দানা বাঁধছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০০:১৪
Share:

বেহাল রাস্তা। নিজস্ব চিত্র।

পুজো আসছে। তবে এখনও বেহাল খড়্গপুর পুর এলাকার অধিকাংশ রাস্তা। উৎসবের আগে তাই রাস্তা সংস্কারে উদ্যোগী হল কংগ্রেস পরিচালিত পুরসভা। স্থানীয় শ্রমিকদের কর্মনিযুক্তি প্রকল্পে ৮০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করে এই রাস্তা সংস্কার করা হবে বলে জানিয়েছেন পুর-কর্তৃপক্ষ। তবে বরাদ্দ হলেও ওয়ার্ড ভিত্তিক টাকা বন্টন এখনও হয়নি। বৈঠক ডেকে পুরসভার ৩৫টি ওয়ার্ডে রাস্তা সংস্কারের টাকা বন্টন করা হবে বলে জানা গিয়েছে। তবে পুরসভার অন্তর্ভুক্ত হওয়া সত্ত্বেও রেলের বেশ কিছু বেহাল রাস্তার সংস্কারের ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষোভ দানা বাঁধছে।

Advertisement

ভবানীপুর, বালাজিমন্দির পল্লি, যুবসঙ্ঘ, খরিদা, রাজগ্রাম, তালবাগিচা, বুলবুলচটি-সহ খড়্গপুরের বহু এলাকায় রাস্তা বেহাল। আরও করুণ দশা রেল ও পুরসভার সংযোগস্থলের রাস্তাগুলির। সংস্কারের অভাবে ধুঁকছে সুভাষপল্লি, দেবলপুর, পাঁচবেড়িয়া, সাউথ ইন্দা, রবীন্দ্রপল্লির রেল এলাকা সংলগ্ন রাস্তাগুলি। এ ছাড়াও রেল স্টেশন থেকে পুরাতনবাজার, নিমপুরা থেকে অরোরা সিনেমা, স্টেশন থেকে ঝাপেটাপুর মোড় পর্যন্ত বেশ কিছু রেলের রাস্তাও বেহাল। রেল ও পুরসভার টানাপড়েনেই রাস্তার এই দশা বলে জানা গিয়েছে। যদিও পুরসভার দাবি, রেলের কাছে চেয়েও অনুমতি না মেলায় রাস্তা সংস্কার করা যায়নি। খড়্গপুরের পুরপ্রধান রবিশঙ্কর পাণ্ডে বলেন, “আমরা রেলকে ওই রাস্তাগুলি সংস্কারের প্রস্তাব দিলেও অনুমতি পাইনি। অথচ মানুষের ক্ষোভের মুখে আমাদেরই পড়তে হচ্ছে। কিছুদিন আগে রেল এলাকার রাস্তাগুলি মেরামতে রেলকে উদ্যোগী হওয়ার আবেদন জানিয়েছি।”

পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর বিশ্বকর্মা পুজোর দিনেই পুরসভার পুনর্নির্মিত সভাগৃহের উদ্বোধন করা হবে। সেই অনুষ্ঠানের শেষে একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে। ওই বৈঠকেই ৩৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে কোন ওয়ার্ড কত টাকা পাবে, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে যে সব রাস্তা একেবারে বেহাল সেগুলি নতুন করে সংস্কার করা হবে। শুধু রাস্তা সংস্কার নয়, প্রতিমা নিরঞ্জনের জন্য পুকুরঘাট সংস্কার করে চারদিকে আলোর ব্যবস্থা ও পুজোর চারদিন কন্ট্রোলরুম খুলে পানীয় জল থেকে জঞ্জাল সাফাইয়েরও ব্যবস্থা করছে পুরসভা। এই দায়িত্ব স্থানীয় কাউন্সিলরদের দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। পুরপ্রধানের কথায়, “ওয়ার্ডের কাউন্সিলদের তত্ত্বাবধানে বরাদ্দ টাকা দিয়ে স্থানীয়ভাবে টেন্ডার করে রাস্তা সংস্কার করা হবে। উৎসবের মরসুমে মানুষকে সাধ্যমতো পরিষেবা দিতে আমাদের পুরসভা প্রস্তুত।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন