পাথরার পথে নতুন সেতুর শিলান্যাস

বছর খানেক আগে এলাকা পরিদর্শন করেছিলেন জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ। পরে পরিকল্পনা তৈরি হয়। মাস কয়েক পরে অর্থও বরাদ্দ হয়। তবে কাজ শুরু হচ্ছিল না। অবশেষে সেই পাথরার কিছু দূরে, হাতিহল্কা সেতুর কাজ শুরু হল। সোমবার ছিল শিলান্যাস। নতুন এই সেতু তৈরির জন্য প্রায় পাঁচ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০১:১৮
Share:

ভাঙাচোরা এই সেতুর পাশেই তৈরি হবে নতুন সেতু। —নিজস্ব চিত্র।

বছর খানেক আগে এলাকা পরিদর্শন করেছিলেন জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ। পরে পরিকল্পনা তৈরি হয়। মাস কয়েক পরে অর্থও বরাদ্দ হয়। তবে কাজ শুরু হচ্ছিল না। অবশেষে সেই পাথরার কিছু দূরে, হাতিহল্কা সেতুর কাজ শুরু হল। সোমবার ছিল শিলান্যাস। নতুন এই সেতু তৈরির জন্য প্রায় পাঁচ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিংহ, পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শৈবাল গিরি, কৃষি-সেচ কর্মাধ্যক্ষ নির্মল ঘোষ প্রমুখ। শৈবালবাবুর আশ্বাস, “সময়ের মধ্যে কাজ শেষের সব রকম চেষ্টা হবে।”

Advertisement

মেদিনীপুর সদর ব্লকের অন্তর্গত হাতিহল্কা থেকে দেড় কিলোমিটার দূরেই ‘মন্দিরময় পাথরা’। এলাকার প্রাচীন মন্দিরগুলোর সংস্কার হয়েছে। সদর ব্লকের এই এলাকাটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠেছে। দুই মেদিনীপুর ও তার আশপাশ থেকে বহু মানুষ এখানে আসেন। হাতিহল্কার এই সেতু পেরিয়েই পাথরা পৌঁছতে হয়। পাথরা পুরাতত্ত্ব সংরক্ষণ কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক মহম্মদ ইয়াসিন পাঠান বলছিলেন, “সেতুর অবস্থা দেখে মাঝেমধ্যেই ভয় হয়। চারপাশে কত ফাটল। নতুন সেতু হলে স্থানীয়রা উপকৃত হবেন।” সেতুর একদিকে পাথরা পঞ্চায়েত, অন্য দিকে পাঁচখুরি-২ গ্রাম পঞ্চায়েত। দুই পঞ্চায়েতের ৩০টি গ্রামের মানুষ এই সেতু দিয়ে যাতায়াত করেন।

২০১৩ সালের মে মাসের বন্যায় সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে অক্টোবরের বন্যায় সেতুটি ভেঙে পড়ে। তারপর সাময়িক মেরামত করা হয়েছে। তবে পরিস্থিতির এতটুকুও উন্নতি হয়নি। স্থানীয়দের মতে, সেতুর উপর দিয়ে প্রচুর সাইকেল-মোটর সাইকেল-লরি চলাচল করে। যোগাযোগের অন্য কোনও রাস্তাও নেই। তাই বাধ্য হয়ে এলাকার মানুষ ঝুঁকি নিয়ে সেতু পারাপার করেন। এটি নীচু এলাকা। পাশেই কংসাবতী। বন্যায় সেতুর উপরে জল উঠে যায়। পরিস্থিতি দেখে হাতিহল্কায় নতুন সেতু তৈরিতে উদ্যোগী হয় জেলা পরিষদ। নতুন সেতু তৈরিতে অন্তত দু’বছর লাগবে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন