পূর্বে নির্বিঘ্নেই মিটল অঙ্গনওয়াড়ির পরীক্ষা

কড়া নিরাপত্তার মধ্যে রবিবার শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা হল। ওই ব্লকের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলির জন্য ১৩ জন কর্মী এবং সহায়কের ৩৫টি শূন্য পদে নিয়োগের জন্য প্রায় আড়াই হাজার প্রার্থীর আবদেন জমা পড়েছিল। এ দিন চারটি হাইস্কুলে ওই সব আবেদনকারীদের লিখিত পরীক্ষা হয়। কর্মী পদের জন্য আবেদনকারী ১৬৯৭ জনের লিখিত পরীক্ষা হয় শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের ডিমারি হাইস্কুল, হাকোলা হাইস্কুল, সোনাপেত্যা হাইস্কুলে আর সহায়ক পদের জন্য ৭৬২ জনের লিখিত পরীক্ষা হয় রামচন্দ্রপুর হাইস্কুলে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তমলুক শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৪ ০১:৪৫
Share:

পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে জটলা তৃণমূল কর্মীদের। ছবি: পার্থপ্রতিম দাস।

কড়া নিরাপত্তার মধ্যে রবিবার শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা হল। ওই ব্লকের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলির জন্য ১৩ জন কর্মী এবং সহায়কের ৩৫টি শূন্য পদে নিয়োগের জন্য প্রায় আড়াই হাজার প্রার্থীর আবদেন জমা পড়েছিল। এ দিন চারটি হাইস্কুলে ওই সব আবেদনকারীদের লিখিত পরীক্ষা হয়। কর্মী পদের জন্য আবেদনকারী ১৬৯৭ জনের লিখিত পরীক্ষা হয় শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের ডিমারি হাইস্কুল, হাকোলা হাইস্কুল, সোনাপেত্যা হাইস্কুলে আর সহায়ক পদের জন্য ৭৬২ জনের লিখিত পরীক্ষা হয় রামচন্দ্রপুর হাইস্কুলে।

Advertisement

পরীক্ষার জন্য প্রতিটি কেন্দ্রেই কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল। সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত পরীক্ষা চলে। তমলুক সদর মহকুমাশাসক শুভাশিস বেজ বলেন, “অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী-সহায়িকা নিয়োগের জন্য পরীক্ষা নির্বিঘ্নে শেষ হয়েছে। কোথাও কোনও অসুবিধা হয়নি।”

পূর্ব মেদিনীপুরের শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী-সহায়িকা পদে নিয়োগের প্রলোভন দিয়ে এজেন্টদের মাধ্যমে টাকা তোলা-সহ একাধিক অভিযোগ তুলে জলসম্পদ মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রের বিরুদ্ধে গত শুক্রবার ব্লক তৃণমূল সভাপতি দিবাকর জানা-সহ প্রায় হাজার দু’য়েক সমর্থক তমলুকের হাসপাতাল মোড় থেকে ধিক্কার মিছিল করে তমলুকের মহকুমাশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছিল। দলেরই বিধায়ক তথা মন্ত্রীর বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে মিছিল ঘিরে রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন পড়ে।

Advertisement

সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে এ দিন ওই ব্লকের অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী-সহায়িকা পদের নিয়োগের লিখিত পরীক্ষার জন্য ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল। পরীক্ষা শুরুর অনেক আগে থেকেই প্রতিটি পরীক্ষাগ্রহণ কেন্দ্রের সামনে ও ভিতরে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন ছিল। অ্যাডমিট কার্ড দেখে শুধুমাত্র পরীক্ষার্থীদের স্কুলের ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন চারটি পরীক্ষাকেন্দ্রে জেলার বিভিন্ন ব্লকের চার জন বিডিও ও তাঁদের অফিসের আধিকারিক-কর্মীরা নজরদারির দায়িত্বে ছিলেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন