পুলিশি অভিযানের ‘জুজু’ দেখিয়ে গয়না নিয়ে চম্পট

বাড়িতে যে কোনও সময় পুলিশ আসবে। তাই কোয়ার্টারে থাকা গয়না, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সরিয়ে ফলতে হবে। সোমবার দুপুরে হলদিয়া টাউনশিপে আইওসি’র সিনিয়ার প্রোডাকসন ইঞ্জিনিয়ার আঞ্জেলাস খাখার কোয়ার্টারে হাজির হয়ে এভাবেই সোনার গয়না-সহ একাধিক মূল্যবান সামগ্রী হাতিয়ে চম্পট দিল এক দুষ্কৃতী। এ দিন সন্ধ্যায় টাউনশিপে পুলিশের কাছে ঘটনার অভিযোগ করেন আইওসি’র ওই আধিকারিক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হলদিয়া শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০১৪ ০০:০৪
Share:

বাড়িতে যে কোনও সময় পুলিশ আসবে। তাই কোয়ার্টারে থাকা গয়না, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সরিয়ে ফলতে হবে। সোমবার দুপুরে হলদিয়া টাউনশিপে আইওসি’র সিনিয়ার প্রোডাকসন ইঞ্জিনিয়ার আঞ্জেলাস খাখার কোয়ার্টারে হাজির হয়ে এভাবেই সোনার গয়না-সহ একাধিক মূল্যবান সামগ্রী হাতিয়ে চম্পট দিল এক দুষ্কৃতী। এ দিন সন্ধ্যায় টাউনশিপে পুলিশের কাছে ঘটনার অভিযোগ করেন আইওসি’র ওই আধিকারিক। প্রতারণার মামলা করে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

Advertisement

হলদিয়া টাউনশিপে আইওসি’র কোয়ার্টারে স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন অ্যাঞ্জেলাস খাখা। তাঁদের ছেলে দুর্গাপুরের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়াশুনো করে। সোমবার দুপুরে আবাসনে ছিলেন অ্যাঞ্জেলাসের স্ত্রী পাঙ্ক্রাটিয়া টোপ্পো। এ দিন অ্যাঞ্জেলাস আইওসি প্ল্যান্টে কাজে ছিলেন। অ্যাঞ্জেলাসের অভিযোগ, “সোমবার দুপুরে এক অচেনা যুবক মোটর-বাইকে করে আমাদের আবাসনে যায়। সে আমার স্ত্রীর কাছে নিজেকে সিআইএসএফের কর্মী বলে পরিচয় দেয়।” অ্যাঞ্জেলাস আরও জানায়, ওই যুবক স্ত্রীকে বলে, আমার সঙ্গে ওঁর অনেকদিনের পরিচয়। আমিই ওঁকে কোয়ার্টারে পাঠিয়েছি। ওই যুবক বলে, রবিবার খাখাজী প্ল্যান্টের একটি মেশিন ‘রিসিভ’ করেছেন। কিন্তু এ দিন ওই মেশিন চুরির অভিযোগে পুলিশ ও আইওসি’র আধিকারিকরা তাঁকে ঘিরে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। পুলিশ আপনাদের কোয়ার্টারে ‘রেড’ করতে আসবে। তাই খাখাজি আপনার কাছে পাঠালেন, গয়না, প্রয়োজনীয় নথি যা কিছু রয়েছে আমার কাছে রাখতে দিন।

অ্যাঞ্জেলাসের কথায়, “পাঙ্খ্রাটিয়া আমায় ফোন করতে যায়। কিন্তু ওই যুবক আমার স্ত্রীকে বলে, এখন দাদাকে ফোন করলে পুলিশ জানতে পেরে কোয়ার্টারে ‘রেড’ করতে চলে আসবে। অ্যাঞ্জেলাসের দাবি, এরপরই ওই যুবক পাঙ্খ্রাটিয়ার কাছ থেকে সোনার গয়না, ব্যাঙ্কের পাস বই, এটিএম কার্ড, আধার কার্ড, তিনটি সচিত্র ভোটার পরিচয়পত্র, ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে চম্পট দেয়। তাঁর অভিযোগ, “সোমবার দুপুরে কোয়ার্টারে ফিরতে দেরি হবে জানাতে স্ত্রীকে ফোন করি। তখন ও পুরো ঘটনার কথা আমাকে জানায়। তখনই আমি বুঝতে পারি, কেউ প্রতারণা করে সব কিছু নিয়ে পালিয়েছে। বিষয়টি উর্ধ্বতন আধিকারিকদের জানাই।” পাঙ্ক্রাসিয়া টোপ্পো বলেন, “ওই যুবক জানায়, কোয়ার্টার থেকে গয়না, নথি সরিয়ে দেওয়ার জন্য আমার স্বামীই তাঁকে পাঠিয়েছে।” আইওসি’র ম্যানেজার (এইচআর) অংশুমান ভট্টাচার্য বলেন, “বিষয়টি নিয়ে পুলিশ তদন্ত করছে। তাই এ নিয়ে কিছু বলছি না।”

Advertisement

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন