পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার নালিশ, প্রতিবাদ সভা ব্যবসায়ীদের

দিন দিন বাড়ছে চুরি-ডাকাতির ঘটনা! অথচও পুলিশও নিষ্ক্রিয় এই অভিযোগে বুধবার বেলদা থানার খাকুড়দা বাজারে নিরাপত্তার দাবিতে প্রতিবাদ সভা করল ব্যবসায়ী সমিতি। সমিতির অভিযোগ, রাতে চুরির ঘটনা ক্রমে বাড়তে থাকায় তাঁদের বিপুল ক্ষতি হচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০১৫ ০০:১৫
Share:

দিন দিন বাড়ছে চুরি-ডাকাতির ঘটনা! অথচও পুলিশও নিষ্ক্রিয় এই অভিযোগে বুধবার বেলদা থানার খাকুড়দা বাজারে নিরাপত্তার দাবিতে প্রতিবাদ সভা করল ব্যবসায়ী সমিতি।

Advertisement

সমিতির অভিযোগ, রাতে চুরির ঘটনা ক্রমে বাড়তে থাকায় তাঁদের বিপুল ক্ষতি হচ্ছে। গত ২৮ রাতে খাকুরদা বাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী উত্তম রাণার দোকানে সোনার গয়না চুরি হয়। রাতের অন্ধকারে দোকানের শার্টার কেটে ও তিনটি দরজার ২৭টি তালা ভেঙে দোকানের প্রায় লক্ষাধিক টাকার সামগ্রী নিয়ে চম্পট দেয় চোরেরা। দীর্ঘক্ষণ ধরে বাজারে চলতে থাকা এই চুরির ঘটনা টের পায়নি পুলিশ। অভিযোগ, থানার ঘটনার অভিযোগ জানাতে গেলেও পুলিশ বিষয়টিতে গুরুত্ব দেয়নি। তাই এ দিন প্রতিবাদ সভা থেকে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে সরব হয় ব্যবসায়ীরা। সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রাজা রায়, খাকুড়দহ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি অশোক লাহা, সম্পাদক অনিল পাত্র প্রমুখ।

ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, শুধু ওই ঘটনা নয়, গত বছর বাজারের অন্য একটি সোনার দোকানে চুরির ঘটনা ঘটলেও দুষ্কৃতীরা এখনও অধরা। ২০১৩ সালেও একটি মনোহারি দোকানে ডাকাতি হয়। স্থানীয় ব্যবসায়ীরাই কয়েকজন ডাকাতকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিলেও ধৃতদের উপযুক্ত শাস্তি হয়নি বলে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ। উত্তম রাণা এ দিন বলেন, “প্রথমে যে পরিমাণ গয়না চুরি গিয়েছে ভেবেছিলাম, পরে দেখেছি আরও বেশি চুরি গিয়েছে। কিন্তু পুলিশ বিষয়টি গুরুত্বহীন করে দেখছে। এত দিনেও কোনও পুলিশি পদক্ষেপ দেখা যায়নি। বাজার এখনও নিরাপদ নয়।” তাই এ দিন বাজার এলাকায় রাতে পুলিশ মোতায়েনের দাবি তুলেছে ব্যবসায়ীরা।

Advertisement

জেলা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রাজা রায় বলেন, “দুই মেদিনীপুরের সীমান্তবর্তী এলাকা খাকুড়দা একমাত্র বড় বাজার এলাকা। আমরা চাই, এখানে ব্যবসায়ীরা নিরাপদে ব্যবসা করুক।” বেলদা থানার পুলিশের অবশ্য দাবি, চুরির ঘটনার তদন্ত সঠিক পথেই চলছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন