পক্ষপাতের নালিশ, থানার সামনে অবরোধ বিজেপির

তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস ছড়ানোর অভিযোগ তুলে থানার সামনে রাস্তা অবরোধ করে পথসভা করল বিজেপি। শুক্রবার বিকেলে খড়্গপুর মহকুমার মোহনপুর থানার সামনে ওই বিক্ষোভ কর্মসূচি চলে। এ দিনের ওই কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপির পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি তুষার মুখোপাধ্যায়, জেলা যুব সভাপতি শুভজিৎ রায় প্রমুখ। পরে ব্লকের মণ্ডল সভাপতি শক্তিপদ নায়েকের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল থানায় গিয়ে আইসি জাফরুল মল্লিকের কাছে অভিযোগ জানান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০১৪ ০০:২৪
Share:

মোহনপুরে পথ অবরোধ। নিজস্ব চিত্র।

তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস ছড়ানোর অভিযোগ তুলে থানার সামনে রাস্তা অবরোধ করে পথসভা করল বিজেপি। শুক্রবার বিকেলে খড়্গপুর মহকুমার মোহনপুর থানার সামনে ওই বিক্ষোভ কর্মসূচি চলে। এ দিনের ওই কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপির পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি তুষার মুখোপাধ্যায়, জেলা যুব সভাপতি শুভজিৎ রায় প্রমুখ। পরে ব্লকের মণ্ডল সভাপতি শক্তিপদ নায়েকের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল থানায় গিয়ে আইসি জাফরুল মল্লিকের কাছে অভিযোগ জানান। যদিও মোহনপুর থানার পুলিশের দাবি, কোনও অনুমতি ছাড়াই এ দিনের কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

Advertisement

বিজেপির অভিযোগ, ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পুলিশে অভিযোগ জানাতে গেলেও তা নেওয়া হচ্ছে না। আবার অভিযোগ জানানো গেলেও বিভিন্ন ঘটনায় অভিযুক্ত মূল অভিযুক্তরা অধরাই থেকে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ। বিজেপির দাবি, ব্লক জুড়েই সন্ত্রাসের মাত্রা বেড়ে চললেও পুলিশ নিষ্ক্রিয়।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৪ ডিসেম্বর রাহুল সিংহের সভার সমর্থনে পোস্টার সাঁটাতে গিয়ে ও গত ৬ ডিসেম্বর ব্লকের ভিতর বাজার এলাকায় প্রহৃত হন কৈলাস বাগুলি নামে এক বিজেপি কর্মী। ওই ঘটনায় কৈলাসের দাদা তৃণমূলের স্থানীয় উপ-প্রধান শেখ আনসার, দেবু অধিকারী, রঞ্জন দাস-সহ তৃণমূলের ১২ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ, সেই ঘটনায় পুলিশ রঞ্জন দাস ও গোবিন্দ জানাকে গ্রেফতার করলেও মূল অভিযুক্তরা এখনও অধরা। এর পরেই গত মঙ্গলবার রাতে বুথ কমিটির বৈঠক শেষে ফেরার পথে বাড়ির কাছেই আক্রান্ত হন মৃত্যুঞ্জয় প্রধান নামে আরও এক বিজেপি কর্মী। ওই ঘটনায় বাদল প্রধান, দীপক প্রধান-সহ ১০ জন তৃণমূল কর্মীর নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়। কিন্তু পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেফতার করেনি। এ দিন বিজেপির জেলা সভাপতি তুষার মুখোপাধ্যায় বলেন, “পুলিশ আমাদের ক্ষেত্রে নিষ্ক্রিয় হলেও তৃণমূলের ক্ষেত্রে অতি সক্রিয়। এই জেলার পুলিশ তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে। আর তার শিকার হচ্ছে আমাদের কর্মীরা। তাই আমাদের কর্মীদের রক্ত ঝরার পরেও পুলিশ এ বার নিষ্ক্রিয় থাকলে রাহুল সিংহের সভার পরে লাগাতার আন্দোলনে নামব।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন