প্রশাসনিক সভা শেষে স্বামীর সঙ্গে মোটর বাইকে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল কোলাঘাটের দেড়িয়াচক পঞ্চায়েত এলাকার এক তৃণমূল সদস্যার। গুরুতর আহত হয়েছেন তাঁর স্বামী রজত আদকও। শুক্রবার সন্ধ্যায় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে কোলাঘাট থানার হলদিচক বাজারের কাছে, হলদিয়া-মেচেদা ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত আলপনা আদক (৩৫) কোলাঘাট ব্লকের দেড়িয়াচক গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ঝকুড়কুল গ্রামের তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যা। বাড়ি ঝকুড়কুল গ্রামেই।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার দেড়িয়াচক গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে ডাকা সভায় যোগ দিতে গিয়েছিলেন আলপনাদেবী। বৈঠক শেষে হলদিয়ার দিকে আসার পথে বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ মেচেদা থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে হলদিচক বাজারের কাছে একই দিক থেকে আসা একটি বাস তাঁদের মোটর সাইকেলে ধাক্কা মারে। বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় আলপনাদেবীর। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁর স্বামীকে উদ্ধার করে মেচেদার একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করান। দুর্ঘটনার পরেই বেসরকারি ওই বাসের চালক-খালাসি পালিয়ে যায়। এরপরেই উত্তেজিত জনতা বাসটিতে ব্যাপক ভাঙচুর করে, আগুন ধরিয়ে দেয়। কোলাঘাট থানার পুলিশবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ জানিয়েছে, বাসের চালককে ধরতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
এ দিন দুপুরে ওই হলদিয়া-মেচেদা জাতীয় সড়কেই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে এক পান চাষির। শুক্রবার দুপুর দু’টো নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে নন্দকুমার থানার দক্ষিণ নারিকেলদা গ্রামে, হলদিয়া-মেচেদা ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম রামচন্দ্র পালই (৪৫)। তাঁর বাড়ি নন্দকুমারের বেতকল্লা গ্রামে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন পান বিক্রির জন্য রামচন্দ্রবাবু বাড়ি থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে নিমতৌড়ি পানবাজারে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে দক্ষিণ নারিকেলদা বাজার বাসস্টপের কাছে হেঁটে জাতীয় সড়ক পার হওয়ার সময় তমলুকগামী একটি ট্যাক্সি তাঁকে ধাক্কা মেরে চম্পট দেয়। ঘটনাস্থলেই রামচন্দ্রের মৃত্যু হয়।