পরপর ছুটি, ভিড় দিঘা-মন্দারমণিতে

ভোট-মরসুমে রেকর্ড ভিড় জমল সৈকত পর্যটন কেন্দ্র দিঘায়। সৌজন্যে শুক্রবার গুড ফ্রাইডে এবং শনি ও রবিবারের ছুটি। পরপর তিন দিনের এই ছুটির কাছে কার্যত হার মানল বৈশাখের চড়চড়ে রোদ এবং ভোট। শুক্রবার থেকেই দিঘার অধিকাংশ সরকারি, বেসরকারি হোটেল লজগুলি ছিল পযর্টকে-ঠাসা। সৈকতে স্নানার্থীদের বিপুল ভিড়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাঁথি শেষ আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০১৪ ০২:০৭
Share:

দিঘায় পর্যটকদের ভিড়। ছবি: সোহম গুহ।

ভোট-মরসুমে রেকর্ড ভিড় জমল সৈকত পর্যটন কেন্দ্র দিঘায়। সৌজন্যে শুক্রবার গুড ফ্রাইডে এবং শনি ও রবিবারের ছুটি। পরপর তিন দিনের এই ছুটির কাছে কার্যত হার মানল বৈশাখের চড়চড়ে রোদ এবং ভোট।

Advertisement

শুক্রবার থেকেই দিঘার অধিকাংশ সরকারি, বেসরকারি হোটেল লজগুলি ছিল পযর্টকে-ঠাসা। সৈকতে স্নানার্থীদের বিপুল ভিড়। দিঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের অন্যতম যুগ্ম-সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তীর কথায়, “দীর্ঘ দিন বাদে দিঘায় এত পযর্টকের সমাবেশ ঘটল।” ভিড় প্রসঙ্গে দিঘা সমুদ্র উৎসবের প্রসঙ্গ টানেন তিনি। বিপ্রদাসবাবু বলেন, “সমুদ্র উৎসব উপলক্ষে দিঘায় হোটেল কর্তৃপক্ষের তরফে পর্যটকদের জন্য ঘরভাড়ায় ৫০ শতাংশ ছাড় দিলেও, তখন এত পর্যটক আসেননি।”

একটু বেশি পরিমাণে পর্যটক সমাবেশ হলেই দিঘায় এক শ্রেণির হোটেল মালিক ঘরভাড়া কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেন বলে পর্যটকরা বরাবরই অভিযোগ করে থাকেন। এর পুনরাবৃত্তি এড়াতে হোটেল সংগঠনগুলির পক্ষ থেকে তীক্ষ্ন নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।

Advertisement

এ দিন সকাল থেকেই দিঘায় আসা পর্যটকরা সমুদ্রস্নানে মেতে উঠার পাশাপাশি মেরিন অ্যাকোয়ারিয়াম, অমরাবতী পার্ক ও দিঘা বিজ্ঞান কেন্দ্রেও ভিড় জমান। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারই দিঘার সমুদ্রে স্নান করতে নেমে তলিয়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছিল বর্ধমানের কালনা এলাকার গাউগুড়িয়া গ্রামের বছর পঁচিশের যুবক সৌরভ মণ্ডলের। এই ঘটনার পর সমুদ্রস্নানে নিরাপত্তায় জোর দিয়েছে প্রশাসন। দিঘা থানার ওসি সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য বিশেষ পুলিশি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সৈকতের বিভিন্ন ঘাটগুলিতে পুলিশ সহায়তা কেন্দ্র খোলা ছাড়াও নুলিয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রয়েছে মাইকিংয়ের ব্যবস্থা। থাকছে সাদা পোষাকের বিশেষ পুলিশ বাহিনীর টহলও।

প্রায় একই অবস্থা আর এক পর্যটন কেন্দ্র মন্দারমণিতেও। সেখানেও বিভিন্ন হোটেল ও লজগুলিতেও ঠাঁই নেই, ঠাঁই নেই অবস্থা। অনেক পর্যটক হোটেল লজ না পেয়ে ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। মন্দারমণি বিচ হোটেলিয়ার্স ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক দেবদুলাল দাস মহাপাত্র জানিয়েছেন, “মন্দারমণিতে কোনও হোটেল-লজ খালি না থাকায় অনেক পর্যটকই ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।” ভিড়ে ঠাসা তাজপুরও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন