ফুটবল, কুচকাওয়াজে বর্ণময় স্বাধীনতা দিবস

মহা সমারোহে ৬৮তম স্বাধীনতা দিবস পালিত হল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা জুড়ে। প্রতি বছরের মতোই বিধি মেনে কালেক্টরেটে দিনটি পালন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা, সাংসদ সন্ধ্যা রায়, বিধায়ক মৃগেন মাইতি প্রমুখ। ছিলেন জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসকেরা এবং বিভিন্ন দফতরের পদস্থ আধিকারিকেরা। জেলা পুলিশ সুপারের অফিসেও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর ও ঘাটাল শেষ আপডেট: ১৮ অগস্ট ২০১৪ ০১:০১
Share:

মেদিনীপুর কালেক্টরেটে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান। নিজস্ব চিত্র।

মহা সমারোহে ৬৮তম স্বাধীনতা দিবস পালিত হল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা জুড়ে।

Advertisement

প্রতি বছরের মতোই বিধি মেনে কালেক্টরেটে দিনটি পালন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা, সাংসদ সন্ধ্যা রায়, বিধায়ক মৃগেন মাইতি প্রমুখ। ছিলেন জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসকেরা এবং বিভিন্ন দফতরের পদস্থ আধিকারিকেরা। জেলা পুলিশ সুপারের অফিসেও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।

জেলার বিভিন্ন স্কুল-কলেজেও দিনটি পালিত হয়। কোথাও শোভাযাত্রা বেরোয়, কোথাও ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন। কেশপুরের তোরিয়া হাইস্কুলের সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষ চলছে। স্কুলের উদ্যোগে যথাযথ মর্যাদায় স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে শোভাযাত্রা বেরোয়। পড়ুয়াদের পাশাপাশি এলাকার মানুষও এতে সামিল হন। বেশ কয়েকজন পড়ুয়া মনীষীর সাজে শোভাযাত্রায় সামিল হয়। শালবনির মৌপাল দেশপ্রাণ বিদ্যাপীঠেও দিনটি পালন করা হয়। এখানে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন। গান-আবৃত্তির পাশাপাশি পরিবেশিত হয় আদিবাসী নৃত্যও। উপস্থিত অতিথিরা স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা করেন। শুক্রবার মেদিনীপুরের রয়্যাল অ্যাকাডেমি স্কুলে ৬৮তম স্বাধীনতা দিবস পালিত হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন স্কুলের চেয়ারম্যান রজনীকান্ত দোলই। ছিলেন প্রিন্সিপাল সত্যব্রত দোলই। ছাত্রছাত্রীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে।

Advertisement

মেদিনীপুর শহরের অলিগঞ্জ মার্শাল আর্ট অ্যাকাদেমিও দিনটি উদ্যাপন করে। এই উপলক্ষে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। ছিল অভিকলা প্রদর্শনীর আয়োজনও। জেলার সরকারি অফিস, আদালত, ব্যাঙ্ক থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্লাবেও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। বিভিন্ন সংগঠনও দিনটি পালন করে। দিনভর জেলার বিভিন্ন প্রান্তে সাউণ্ড বক্সে বেজেছে দেশাত্মবোধক গান।

ঘাটালে মূল আকর্ষণ ছিল সাঁতার প্রতিযোগিতা। ফি বছরই শিলাবতী নদীতে ঘাটাল পুরসভার উদ্যোগে এই দিন সাঁতার প্রতিযোগিতা হয়। বিভিন্ন জেলার শ’দেড়েক প্রতিযোগী এ বার যোগ দিয়েছিলেন প্রতিযোগিতায়। আর এই প্রতিযোগিতার সাক্ষী হতে নদীর দু’পাড়ে হাজির ছিলেন হাজার হাজার মানুষ। অন্য দিকে ঘাটাল শহরের প্রগতি ক্লাবের উদ্যোগে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে রোগীদের ফল বিতরণ করেন ঘাটালের বিধায়ক শঙ্কর দোলই। গোয়ালতোড়ের রাজবাঁধ গ্রামে মারাঙগুরু ক্লাবের উদ্যোগে একদিনের নকআউট ফুটবল প্রতিযোগিতাও অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ১২ টি ক্লাব যোগ দিয়েছিল। ফাইনালে সরবোত বাহামালা ক্লাব ১-০ গোলে হারায় ভোমা কালিমাতা ক্লাবকে। মারাঙগুরু ক্লাবের সম্পাদক শুকচাঁদ টুডু বলেন, “এই নিয়ে আমরা দু’বছর খেলার আয়োজন করলাম। এলাকার মানুষের ফুটবলের প্রতি আকর্ষণ বাড়াতেই এই উদ্যোগ।”

অন্য দিকে ঘাটাল শহরে অগ্রণী ক্লাবের উদ্যোগে চারদলীয় নকআউট ফুটবল প্রতিযোগিতা হয়। ফাইনালে ঘাটাল অগ্রণী ১-০ গোলে হারায় সাগরপুর ক্লাবকে। উপস্থিত ছিলেন ঘাটালের বিধায়ক শঙ্কর দোলই, চেয়ারম্যান বিভাস ঘোষ, উপ-পুরপ্রধান উদয়শঙ্কর সিংহরায় প্রমুখ। এছাড়াও স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ঘাটাল, দাসপুর, চন্দ্রকোনা, ক্ষীরপাই সহ বিভিন্ন এলাকায় নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন