বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা নিয়ে সরব শুভেন্দু

সারদা-সহ বিভিন্ন বেসরকারি লগ্নি সংস্থার বিরুদ্ধে ফের সরব হলেন তমলুকের তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার চণ্ডীপুর বাজারের তমলুক-ঘাটাল কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের শাখার নতুন অফিস উদ্বোধন করেন শুভেন্দুবাবু। সেখানেই তিনি বলেন, “চিটফান্ড কেলেঙ্কারির জেরে লক্ষ লক্ষ মানুষ সর্বস্বান্ত হয়েছেন। চিটফান্ডের রমরমার বিরুদ্ধে আমি প্রথম সোচ্চার হয়েছিলাম। ২০১২ সালের ২৬ ডিসেম্বর নন্দকুমারে খঞ্চি সমবায় সমিতির ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী হায়দার আজিজ সফির উপস্থি তিতে বলেছিলাম চিটফান্ডগুলি একশো টাকা সংগ্রহ করছে আর ৪০ শতাংশ টাকা এজেন্টকে কমিশন দিয়ে দিচ্ছে!

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০১ জুলাই ২০১৪ ০০:২১
Share:

সারদা-সহ বিভিন্ন বেসরকারি লগ্নি সংস্থার বিরুদ্ধে ফের সরব হলেন তমলুকের তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার চণ্ডীপুর বাজারের তমলুক-ঘাটাল কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের শাখার নতুন অফিস উদ্বোধন করেন শুভেন্দুবাবু। সেখানেই তিনি বলেন, “চিটফান্ড কেলেঙ্কারির জেরে লক্ষ লক্ষ মানুষ সর্বস্বান্ত হয়েছেন। চিটফান্ডের রমরমার বিরুদ্ধে আমি প্রথম সোচ্চার হয়েছিলাম। ২০১২ সালের ২৬ ডিসেম্বর নন্দকুমারে খঞ্চি সমবায় সমিতির ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী হায়দার আজিজ সফির উপস্থি তিতে বলেছিলাম চিটফান্ডগুলি একশো টাকা সংগ্রহ করছে আর ৪০ শতাংশ টাকা এজেন্টকে কমিশন দিয়ে দিচ্ছে! এরা সাধারণ মানুষকে লোভ দেখিয়ে প্রতারণা করছে।” তাঁর কথায়, “তখনই বলেছিলাম, এই সব প্রতারকদের হাত থেকে সাধারণ মানুষকে রক্ষা করতে হলে সমবায়কে এগিয়ে আসতে হবে।”

Advertisement

এ দিনের অনুষ্ঠানে শুভেন্দুবাবু সমবায়গুলিতে ঋণদান ও আদায়ের ক্ষেত্রে রাজনীতির রং না দেখার পরামর্শ দেন। তমলুকের সাংসদের কথায়, “সমবায়কে সামনে রেখে ক্ষুদ্র রাজনীতি করা যায় না। ঋণ আদায়ের ক্ষেত্রে রাজনীতির রঙ দেখা চলবে না।” অনুষ্ঠানে ছিলেন তমলুক-ঘাটাল কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান কমলেশ চক্রবর্তী, মদন মিশ্র-সহ ব্যাঙ্কের পদস্থ আধিকারিকেরা।

অন্য দিকে, সোমবার বিকেলে লালগড়ের রামগড় অঞ্চলের খাসজঙ্গল মোড়ে ‘হুল দিবসে’র একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “এখন জঙ্গলমহলে শান্তি রয়েছে। গুলি-বোমার শব্দ শুনতে পাওয়া যায় না। বন্ধ অবরোধ হয় না। আদিবাসী-মূলবাসী মানুষকে মাওবাদী তকমা দিয়ে বিনা বিচারে আটক হতে হয় না।” অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা ছিল ‘খাসজঙ্গল সিদো-কানহো গাঁওতা’ নামে একটি অরাজনৈতিক আদিবাসী সংগঠন।

Advertisement

শুভেন্দু বলেন, “আদিবাসী সমাজ দীর্ঘ দিন ধরে বঞ্চনার মধ্যে আছে।” আদিবাসী-মূলবাসী সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে গাঁওতার মতো প্রতিষ্ঠানগুলিকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান শুভেন্দু। এলাকার উন্নয়নের জন্যে তিনি সাধ্যমত সাহায্যের আশ্বাস দেন। সব শেষে এলাকার আটটি আদিবাসী দলের প্রতিনিধিদের হাতে ধামসা, মাদল ও পাঁচ হাজার টাকা তুলে দেন শুভেন্দু। এ দিনের অনুষ্ঠানে শুভেন্দু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়নমন্ত্রী সুকুমার হাঁসদা, লালগড় পঞ্চায়েত সমির সভাপতি তন্ময় রায়, তৃণমূলের লালগড় ব্লক সভাপতি বনবিহারী রায় প্রমুখ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement