বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষ, জখম দশ

দলীয় পতাকা তোলাকে কেন্দ্র করে শাসক তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির সংঘর্ষে জখম হলেন দশজন। বুধবার ঘাটাল থানার মহারাজপুর সংলগ্ন নারায়ণপুরের এই ঘটনায় জখমদের মধ্যে ছ’জনই তৃণমূলের কর্মী-সমর্থক। এর মধ্যে ছ’জন ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। খবর পেয়ে ঘাটালের ওসি সুদীপ ঘোষালের নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। তিনজন দলীয় সমর্থককে পুলিশ আটক করলে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঘাটাল শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০১৫ ০০:১৩
Share:

দলীয় পতাকা তোলাকে কেন্দ্র করে শাসক তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির সংঘর্ষে জখম হলেন দশজন। বুধবার ঘাটাল থানার মহারাজপুর সংলগ্ন নারায়ণপুরের এই ঘটনায় জখমদের মধ্যে ছ’জনই তৃণমূলের কর্মী-সমর্থক। এর মধ্যে ছ’জন ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। খবর পেয়ে ঘাটালের ওসি সুদীপ ঘোষালের নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। তিনজন দলীয় সমর্থককে পুলিশ আটক করলে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। তবে ঘণ্টা তিনেক পর মেদিনীপুর থেকে পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। ঘটনাস্থলে আসেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খড়্গপুর) অভিষেক গুপ্ত। তবে রাত পর্যন্ত এ বিষয়ে কোন পক্ষই অভিযোগ দায়ের করেনি।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার নারায়ণপুরে বিজেপির একটি কর্মিসভা ও দলীয় কার্যালয় উদ্বোধনের কর্মসূচি ছিল। অনুষ্ঠান শেষে দলীয় পতাকা তোলার সময়ই তৃণমূল সমর্থকরা বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। বিজেপির ঘাটাল মণ্ডল কমিটির সভাপতি স্বরুপ সামুই বলেন, “আমরা প্রশাসনকে জানিয়েই দলীয় পতাকা এবং অফিস খোলার দিন ঠিক করি। কিন্তু এ দিন পতাকা তোলার পর তৃণমূলের লোকজন আমাদের সমর্থকদের মারতে শুরু করে।” আর পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভের প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, “ঘটনার পর পুলিশ বেছে বেছে আমাদের সমর্থকদেরই আটক করে। তার প্রতিবাদেই দলের সমর্থকরা পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায়।”

বিজেপির দাবি, গোটা ঘাটাল ব্লকে এখন দলীয় অফিস খোলা হচ্ছে। ধীরে ধীরে শাসক দলেরই একটা বড় অংশ বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে দলে যোগ দেওয়ার আগ্রহও প্রকাশ করেছে। ঘাটাল ব্লকে দলের সংগঠন শক্ত হতে শুরু করায় তৃণমূল সহ্য করতে না পেরে এ দিন মারধর শুরু করে। বিজেপির জেলা সভাপতি তুষার মুখোপাধ্যায় বলেন, “বেআইনি ভাবে পুলিশ দলীয় কর্মীদের গ্রেফতার করেছে। পুলিশ নিরপেক্ষ ভাবে কাজ না করলে এবং দলীয় কর্মীদের না ছাড়লে গোটা ঘাটাল ব্লক স্তব্ধ করে দেওয়া হবে।”

Advertisement

বিজেপির এই অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূল। ঘাটালের বিধায়ক শঙ্কর দোলই বলেন, “তৃণমূলের কেউ বিজেপি সমর্থকদের মারেনি। উল্টে বিজেপি কর্মীরাই আমাদের দলের কর্মীদের মারধর করে।” এ দিন রাতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও এলাকায় পর্যাপ্ত পুলিশ পিকেট ছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন