বিডিওকে ঘিরে বিদ্যুৎ-বিক্ষোভ

বিদ্যুতের ভোল্টেজ কম থাকায় চাষে সমস্যা হচ্ছে এই অভিযোগে বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন চাষিরা। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে খড়্গপুর ২ ব্লকের সাঁকোয়া লকগেট বাজারের কাছে বেনাপুর থেকে সাঙ্গার যাওয়ার রাস্তা অবরোধ হয়। বিডিও এলাকায় গেলে তাঁকে ঘিরেও বিক্ষোভ চলে। পরে মহকুমাশাসকের সমস্যা সমাধানের আশ্বাসে ঘণ্টা দু’য়েক পর অবরোধ ওঠে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০১৫ ০১:৩৭
Share:

বিদ্যুতের ভোল্টেজ কম থাকায় চাষে সমস্যা হচ্ছে এই অভিযোগে বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন চাষিরা। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে খড়্গপুর ২ ব্লকের সাঁকোয়া লকগেট বাজারের কাছে বেনাপুর থেকে সাঙ্গার যাওয়ার রাস্তা অবরোধ হয়। বিডিও এলাকায় গেলে তাঁকে ঘিরেও বিক্ষোভ চলে। পরে মহকুমাশাসকের সমস্যা সমাধানের আশ্বাসে ঘণ্টা দু’য়েক পর অবরোধ ওঠে। চাষিদের অভিযোগ, গোপালি সাব-স্টেশনের অন্তর্গত ওই এলাকায় ভোল্টেজ কম থাকায় স্যালো পাম্প চালাতে অসুবিধা হচ্ছে। বুধবার রাত থেকে সাব-স্টেশনের ফিডার বিকল হলেও বিদ্যুৎ দফতর সারাতে উদ্যোগী হয়নি বলে অভিযোগ।

Advertisement

প্রায় এক দশক ধরে ডাঙিচক, লক্ষ্মীচক বাড়ফকির, তেঁতুলমুড়ি, সাঁকোয়া-সহ প্রায় ১১টি গ্রামে বিদ্যুতের সমস্যা রয়েছে। কৃষি নির্ভর এলাকায় কম ভোল্টেজের জন্য চাষের কাজে ক্ষতি হচ্ছিল। বর্তমানে ওই এলাকায় অনেক নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ চালু হলেও পরিকাঠামোগত উন্নতি না হওয়ায় চাপ বাড়ছে সাব-স্টেশনে।

চাষিদের অভিযোগ, বর্তমানে বোরো ধানের মরসুমে সর্বত্র সেচের কাজে উচ্চ ক্ষমতার পাম্পসেট ব্যবহার হওয়ায় বিদ্যুতের চাহিদাও অধিক। এই পরিস্থিতিতে অতিরিক্ত চাপ সামলাতে না পেরে বুধবার রাতে সাব-স্টেশনের ফিডার বিকল হয়ে যায়। বৃহস্পতিবার সকালে কম ভোল্টেজের কারণে পাম্পসেট না চলায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন চাষিরা। দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ চলায় ঘটনাস্থলে যান বিডিও রিনা নিরঞ্জন। গ্রামবাসীরা বিডিওকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান। স্থানীয় চাষি জয়ন্ত বেরা, উজ্বল দে-রা বলেন, “কম ভোল্টেজে চাষে লোকসান বাড়ছে। টাকা দিয়ে বিদ্যুৎ নিয়েও পরিষেবার এই হাল! এই সমস্যার সমাধান চাই।” পরিস্থিতি সামলাতে এলাকায় গিয়ে চাষিদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন মহকুমাশাসক সঞ্জয় ভট্টাচার্য। এরপরে অবরোধ উঠে যায়।

Advertisement

মহকুমাশাসক বলেন, “বিডিওকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল চাষিরা। আমি যাওয়ার পরে মেরামতির কাজ শুরু হলে অবরোধ উঠে যায়।” বিদ্যুৎ দফতরের ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার কমলকুমার মাইতি মানছেন, “এখন চাষের মরসুম চলায় বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুতের চাহিদা বেশি রয়েছে। সেই কারণেই গোপালি সাব-স্টেশনের ফিডার বসে গিয়েছিল। আমাদের কর্মীরা মেরামতির জন্য যাচ্ছিল। কিন্তু তাঁদের আটকে রাখা হয়। পরে অবশ্য কাজ শুরু করা হয়েছে।” আজ, শুক্রবারের মধ্যেই সমস্যার সমাধান করা যাবে বলেও জানান তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন