বাড়ছে বিক্রি, চাঙ্গা হচ্ছে তন্তুজ

একটা সময় বিক্রি ঠেকেছিল তলানিতে। প্রশ্ন উঠেছিল, লক্ষ লক্ষ টাকা ভর্তুকি দিয়ে বস্ত্র বিপণি ‘তন্তুজ’-এর কাউন্টার রাখার প্রয়োজনটা কী! এখন অবশ্য পরিস্থিতি পাল্টাচ্ছে। বাড়ছে বিক্রি। তন্তুজের বিক্রি যে বাড়ছে, তা স্পষ্ট পরিসংখ্যান থেকেই। মেদিনীপুর কাউন্টারে ২০১০ সালে যেখানে মাত্র ১৮ লক্ষ ২৩ হাজার টাকার বিক্রি হয়েছিল, গত বছর সেখানেই বিক্রি হয়েছে ৪৩ লক্ষ ২৫ হাজার টাকার পোশাক। বৃদ্ধির হার প্রায় আড়াইগুণ।

Advertisement

সুমন ঘোষ

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০১৫ ০০:২৭
Share:

মেদিনীপুরের তন্তুজ বিপণিতে চলছে কেনাকাটা। নিজস্ব চিত্র।

একটা সময় বিক্রি ঠেকেছিল তলানিতে। প্রশ্ন উঠেছিল, লক্ষ লক্ষ টাকা ভর্তুকি দিয়ে বস্ত্র বিপণি ‘তন্তুজ’-এর কাউন্টার রাখার প্রয়োজনটা কী! এখন অবশ্য পরিস্থিতি পাল্টাচ্ছে। বাড়ছে বিক্রি।
তন্তুজের বিক্রি যে বাড়ছে, তা স্পষ্ট পরিসংখ্যান থেকেই। মেদিনীপুর কাউন্টারে ২০১০ সালে যেখানে মাত্র ১৮ লক্ষ ২৩ হাজার টাকার বিক্রি হয়েছিল, গত বছর সেখানেই বিক্রি হয়েছে ৪৩ লক্ষ ২৫ হাজার টাকার পোশাক। বৃদ্ধির হার প্রায় আড়াইগুণ। গত চার বছরে ঝাড়গ্রাম কাউন্টারেও বিক্রির পরিমাণ সাড়ে ১৪ লক্ষ থেকে বেড়ে হয়েছে ২৬ লক্ষ টাকা। বৃদ্ধির হার দ্বিগুণের কাছাকাছি।
কেন বাড়ছে বিক্রি?
তন্তুজের মেদিনীপুর কাউন্টারের ম্যানেজার অসিতবরণ গঙ্গোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘এখন ব্যবসায়িক মানসিকতা তৈরি হয়েছে। বাজারের সঙ্গে পাল্লা দিতে পোশাকের ডিজাইন আধুনিক করা হচ্ছে। রেডিমেড পাঞ্জাবি, ফতুয়া থেকে শার্ট, সবই মিলছে।’’ অসিতবাবুর আরও সংযোজন, ‘‘আগে এই কাউন্টার ভর্তুকিতেই চলত। এখন আমরা নিজেদের মাইনে, বাড়ি ভাড়া মিটিয়েও সরকারকে লভ্যাংশ দিই।’’ মানসিকতায় বদলের পিছনে যে কাজ করার চাপ রয়েছে, তা বোঝা গেল কর্তৃপক্ষের কথায়। তন্তুজের এক ডিরেক্টর দিলীপ মাইতি বলেন, ‘‘এখন লক্ষ্যমাত্রা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি দোকানে গড়ে ৩০-৩৫ লক্ষ টাকার বিক্রি করতেই হবে। কর্মীরা শুধু বসে থাকবেন, বিক্রি হবে না আর সরকার ভর্তুকি দিয়ে মাইনে দেবে, তা চলবে না।’’ তন্তুজের এক ডিরেক্টর জানান, হাল ফেরাতে আরও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হচ্ছে। সেখানে তৈরি পোশাকও কাউন্টারগুলিতে ঠাঁই পাবে।
কর্মীদের মানসিকতা তন্তুজের উন্নতির পথে অন্যতম অন্তরায় ছিল বলে জানাচ্ছেন ক্রেতারা। ভাল মানের, অভিজাত রুচির শাড়ি, বিছানার চাদর, গামছা, লুঙ্গির জন্য যাঁরা দোকানে আসতেন, তাঁদের প্রতি কর্মীদের ব্যবহার নেহাত ভাল হত না। দু’-চারটি জিনিস দেখানোর পরই বিরক্ত হতেন কর্মীরা। অনেক খদ্দেরই তাই ইচ্ছে থাকলেও আর দোকানে যেতেন না। ক্রেতা গোপাল দাসের কথায়, ‘‘টাকা দিয়ে জিনিস কিনব। কেন কথা শুনব বলুন তো। তাই যায় না।’’ কর্মীদের এই মানসিকতার জেরেই সারা বছরে তন্তুজের একটি দোকানে বড় জোর ১২-১৪ লক্ষ টাকার জিনিস বিক্রি হত। ফলে, দোকানের ৪-৫ জন কর্মী মাইনের টাকা তুলতে পারতেন না। বাড়ি ভাড়া তো দূর অস্ত্‌। সরকারের কাছে মাইনে চেয়ে আবেদন জানাতে হত। ভর্তুকির কারণে অনেক সময় ৬-৭ মাস মাইনে মিলত না।

Advertisement

এখন পরিস্থিতি একটু একটু করে বদলালেও সব সমস্যা মেটেনি। এখনও চাহিদা অনুযায়ী সব ধরনের জিনিসের জোগান নেই। ফলে, পুজোর মুখে হতাশ ক্রেতারা। ঝাড়গ্রামের তন্তুজ কাউন্টারের ম্যানেজার নবকুমার শাসমলের কথায়, “এ বার ঢাকাই জামদানি ও সিল্কের মটকা, ঘিচার চাহিদা বেশি। কিন্তু আমরা অর্ডার দিয়েও পাচ্ছি না। পেলে বিক্রি আরও বাড়ত।’’ প্রচারের অভাবও একটা সমস্যা। তন্তুজে যে ভাল ছাড় মেলে, তা মফস্সলের অনেকেই জানেন না। ক্রেতা অসীম ধরের কথায়, ‘‘হঠাত্‌ এক বার জানতে পারি, তন্তুজের সব ধরনের সামগ্রীতেই ৪০ শতাংশ ছাড়। তখন বাড়ির সকলের জন্য শাড়ি, জামা, বিছানার চাদর কিনেছিলাম। বাজারের থেকে অনেক সস্তা।’’ পাশে থাকা জগন্নাথ পাত্রের আফশোস, ‘‘ইস, জানলে আমিও কিনতাম।’’

দাবি। দ্রুত ফলপ্রকাশের দাবিতে শুক্রবার বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেপুটেশন দিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ পরিচালিত ছাত্র সংসদ। ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক স্বদেশ সরকারের বক্তব্য, স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়নি। স্নাতকোত্তরের ইংরেজি, বাংলা ও ইতিহাস বিভাগের দ্বিতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষার ফলও অপ্রকাশিত। কর্তৃপক্ষের উচিত, দ্রুত ফলপ্রকাশের পদক্ষেপ করা।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন