বিভেদ নয়, পরামর্শ সন্ধ্যার

সাংসদ হওয়ার পর মেদিনীপুরে এসেছেন। তবে দলের কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেননি। বুধবারই প্রথম দলের কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করলেন সাংসদ সন্ধ্যা রায়। এ দিন মেদিনীপুর শহরের প্রদ্যোত্‌ স্মৃতি সদনে এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১৪ অগস্ট ২০১৪ ০০:৫৭
Share:

সাংসদ হওয়ার পর মেদিনীপুরে এসেছেন। তবে দলের কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেননি। বুধবারই প্রথম দলের কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করলেন সাংসদ সন্ধ্যা রায়। এ দিন মেদিনীপুর শহরের প্রদ্যোত্‌ স্মৃতি সদনে এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। মেদিনীপুর লোকসভা এলাকার অন্তর্গত সাতটি বিধানসভা এলাকার তৃণমূল নেতা-কর্মীদের নিয়ে বৈঠকের আয়োজন করা হয়। আর প্রথম কর্মী-বৈঠকেই দলের মধ্যে বিভেদ এড়ানোর পরামর্শ দিলেন সন্ধ্যাদেবী। এই অভিনেত্রী সাংসদের কথায়, “কিছু কিছু পরিবারে পাঁচজনের সকলে ভাল হন না। তিনজন ভাল হন, দু’জন বিভেদ সৃষ্টি করার চেষ্টা করেন। আমাদের সংগঠনেও কিছু কিছু মানুষ বিভেদ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছেন। এর জন্য এগিয়ে চলার পথে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। বিভেদ এড়াতে হবে। আমি সব সময় আপনাদের সঙ্গে আছি।”

Advertisement

পশ্চিম মেদিনীপুরেও তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল রয়েছে। লোকসভার প্রচারেও মাঝেমধ্যে সেই কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছে। কখনও বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে সন্ধ্যাদেবীকেও। এদিনও একাংশ নেতৃত্বের বক্তব্যে মতবিরোধ সামনে এসেছে। কয়েকজন নেতা বৈঠকেই কবুল করেন, কিছু ক্ষেত্রে কাজ এগোতে দলের মধ্যে থেকেই বাধা আসছে। জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য মতবিরোধের কথা মানতে নারাজ। নেতৃত্বের সাফাই, এটা দলের সাংগঠনিক বৈঠক। সাংগঠনিক বৈঠকে দলের আভ্যন্তরীণ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হবেই। সেখানে নেতারা তাঁদের মতপ্রকাশ করবেন। এ নিয়ে বিতর্কের কী আছে! এদিন বৈঠকে উন্নয়ন বিষয়ক আলোচনাও হয়। কী কী উন্নয়নমূলক কাজকর্ম করা প্রয়োজন, বক্তব্য রাখতে গিয়ে নেতারা সেই পরামর্শ দেন। একাংশ নেতার বক্তব্যেই মতবিরোধ সামনে আসে। পরে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সন্ধ্যাদেবী বলেন, “আপনাদের গড়া সাংসদ সন্ধ্যা রায় আজ আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছেন। এখন আমার দায়বদ্ধতা অনেক।” তাঁর কথায়, “কাজের ক্ষেত্রে আপনাদের সহযোগিতা চাই। আমার মন অনেক বড়। অনেক ভাল কাজ করার ইচ্ছে আছে। বছরে ৫ কোটি টাকা পাবো। লোকসভা এলাকায় সাতটি বিধানসভা এলাকা রয়েছে।”

সাংসদ হিসেবে দিল্লিতে গিয়ে নিজের অভিজ্ঞতার কথাও এ দিন কর্মীদের শোনান সন্ধ্যাদেবী। তাঁর কথায়, “কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখেছি, স্পিকার বিরোধী সাংসদদের বেশি বলতে দেন না। আমার বয়স যদি ১৮ হত, কোমর বেঁধে নেমে পড়তাম।” তৃণমূলের জেলা সভাপতি দীনেন রায় বলেন, “মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে। মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখলে মানুষও আপনার পাশে থাকবে।” তিনি আরও বলেন, “কষ্ট করলে কেষ্ট মেলে। ফাঁকা আওয়াজে কিছু মেলে না। দল সব জানে। আজ আমি সভাপতি আছি। কালকে নাও থাকতে পারি। দল যদি অন্য কাউকে যোগ্য মনে করে ওয়েলকাম! কর্মী হিসেবেই দলের কাজ করব।” উপস্থিত ছিলেন দলের জেলা চেয়ারম্যান তথা মেদিনীপুরের বিধায়ক মৃগেন মাইতি, মহিলা তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী তথা জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিংহ, দলের তিন জেলা কার্যকরী সভাপতি প্রদ্যোত্‌ ঘোষ, নির্মল ঘোষ, আশিস চক্রবর্তী প্রমুখ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একদিন না- একদিন দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন বলেও এদিন দাবি করেন সন্ধ্যাদেবী।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন