হলদিয়া বন্দরে পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হল বায়ো ডিজেলের ট্রেন। নিজস্ব চিত্র।
বায়ো ডিজেলের মাধ্যমে পরীক্ষামূলক ভাবে রেলইঞ্জিন চলল শিল্পশহর হলদিয়ায়। রবিবার দুপুরে হলদিয়া বন্দরের আধিকারিকদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিক ভাবে বন্দরের মধ্যে ওই ইঞ্জিন চলে। বন্দর সূত্রে খবর, বায়ো ডিজেলের এমন ব্যবহারে পরিবেশ দূষণ কমবে, লিটার পিছু ৫ থেকে ৬ টাকা করে আর্থিক সাশ্রয়ও হবে।
বন্দরের আধিকারিকদের দাবি, দেশের ১২টি বড় বন্দরের মধ্যে এই প্রথম হলদিয়া বন্দরে পরীক্ষামূলক ভাবে বায়ো ডিজেলের সাহায্যে রেল ইঞ্জিন চালানো হল। এ দিন থেকে বন্দরের মধ্যে আপাতত একটি ইঞ্জিন বায়ো ডিজেলের সাহায্যে চালানো হবে বলে বন্দর সূত্রে খবর। ক্রমশ বাকি রেল ইঞ্জিন, বিভিন্ন ক্রেন, বন্দরের নিজস্ব যানবাহনও বায়ো ডিজেলের সাহায্যে চালাতে বন্দর কর্তৃপক্ষ উদ্যোগী হয়েছেন।
মাস দেড়েক আগে কেন্দ্রীয় জাহাজ মন্ত্রী নিতিন গড়করি হলদিয়া বন্দরে এসেছিলেন। তখন তিনি বন্দর কর্তৃপক্ষকে বায়ো ডিজেল ব্যবহারে জোর দিতে বলেছিলেন। এ দিন সাধারণ হাই স্পিড ডিজেলের সঙ্গে ৫ শতাংশ বায়ো ডিজেল মিশিয়ে রেল ইঞ্জিন চালানো হয়। পরে ইঞ্জিন ও অন্য যানবাহনের যন্ত্রের আধুনিকীকরণ করে সাধারণ হাইস্পিড ডিজেলের সঙ্গে বায়ো ডিজেল মিশ্রণের পরিমাণ বাড়ানো হবে বলে বন্দরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন।
বন্দরের জেনারেল ম্যানেজার (ইঞ্জিনিয়ারিং) সোমনাথ মুখোপাধ্যায় জানান, জাহাজ মন্ত্রীর অনুরোধ মতো হলদিয়ার বায়ো ডিজেল প্রস্তুতকারক সংস্থা ইমামি বায়োটেকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তাদের থেকে বায়ো ডিজেল নিয়েই এ দিন পরীক্ষামূলক ভাবে রেল ইঞ্জিনটি চালানো হয়। সোমনাথবাবু ছাড়াও বন্দরের ওই অনুষ্ঠানে এ দিন বন্দরের জেনারেল ম্যানেজার (প্রশাসন) অমলকুমার দত্ত , হলদিয়ার ইমামি বায়োটেক লিমিটেডের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার কে শ্রীনিবাসা রাও প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বন্দরের জেনারেল ম্যানেজার (প্রশাসন) বলেন, “আমরা সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনেরও উদ্যোগী হচ্ছি। এ জন্য ৪০ একর জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানে ১০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা রয়েছে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে।” হলদিয়া বন্দর সূত্রে খবর, এখন বন্দরের ১২টি রেল ইঞ্জিন, বিভিন্ন ক্রেন ও যানবাহনের জন্য বছরে প্রায় এক হাজার কিলোলিটার (দশ লক্ষ লিটার) ডিজেল প্রয়োজন হয়।